পৰ্য্যালোচনা করিতেন। তিনি সমুদয় আমোদ প্রমোদ ত্যাগ করিয়া তপস্বীর স্তায় জীবন যাপন করিতে লাগিলেন । তিনি প্রতিদিন প্রাতঃকালে প্ৰাত:কৃত্য সমাপন করিয়া ধৰ্ম্মাসনে আসীন হইয়া ব্রাহ্মণ ও পৌরজন সমভিব্যাহারে রাজকাৰ্য্য পর্য্যালোচনা করিতেন । ঐ সময়ে একদিন এক সারমেয় এক ব্রাহ্মণ কর্তৃক প্রহৃত হইয়া রামের নিকট বিচার প্রার্থী হয়। রাম সেই প্রহারকারী ব্রাহ্মণকে রাজ সভায় আনয়ন করাইয়া তাহাকে সারমেয়ের ইচ্ছানুযায়ী দণ্ড দিলেন । কিছুদিন পরে বাম ব্রহ্মদত্ত নামক এক তাহার । বার রামচন্দ্রকে অনুরোধ করিতে লাগি| সীতার গর্ভজাত কুশ ও লব নামক রামের পুত্রদ্ধয়কে লইয়া উপস্থিত হন । বাল্মীকি কুশ ও লবকে রামের সভায় রামায়ণ গান করিতে আদেশ দিয়া প্রস্থান করেন । রাম, কুশ ও লবের মুখে অতি সুমধুর রামায়ণ গান শুনিয়া পরম পরিতুষ্ট হইলেন এবং কুশ ও লবের নিকট বাল্মীকির পরিচয় পাইয় তাহাকে রাজসভায় আনয়ন করিবার জন্য দূত প্রেরণ করেন। মহর্ষি বাল্মীকি তখন সীতাকে সঙ্গে লইয়া রামের যজ্ঞসভায় উপস্থিত হইলেন এবং সৰ্ব্বজন সমক্ষে সীতার নিষ্কলঙ্ক চরিত্রের কথা কীৰ্ত্তন করিয়া, সীতাকে পুনগ্রহণ করিবার জন্য বারং গুঞ্জকে স্পর্শ কবিয়া,তাহাব শাপমোচন | লেন। তখন রাম বলিলেন যে সীতার করেন। লবণ নামক অসুরেব ভয়ে ঋষি- চরিত্রের বিশুদ্ধতা সম্বন্ধে তাহার কোনও গণ বামচন্দ্রেল মিকট প্রতীকশব প্রার্থনা সন্দেহ নাই, তবে সাত সৰ্ব্বসাধারণের কবিলে, তিনি শক্রয়কে লবণ বধেব সন্দেহ নিরাকরণের জন্য যদি নিজের গুন্ধজন্য প্রেবণ কবেন। এক ব্রাহ্মণের ' চাবিতার প্রমাণ দিতে পারেন, তবেষ্ট তিনি সীতাকে গ্রহণ করিতে সম্মত আছেন। অনন্তর সীতা পাতালে প্রবেশ করিলে রাম নিজের ভ্রম স্তনয়ের অকাল মৃত্যুব কাবণ জানিতে বুঝিতে পারিয়া, অতিশয় দুঃখিত ও পারিয়া, সেই বালকের মৃত্যুব কারণ- ক্রুদ্ধ হইলেন। তখন দেবগণ সহ ব্ৰহ্ম। স্বরূপ তপস্তাবত এক শূদ্রকে বধ করেন। আসিয়া নানারূপ প্ৰবোধ বাক্যে অতঃপর রাম নৈমিষারণ্যে এক অশ্বমেধ রামের শোক ও ক্রোধের শাস্তি যজ্ঞেব আয়োজন করেন। সেই যজ্ঞে করেন । ইহার কিছুদিন পরে তাপসরূপী আমন্ত্রিত হইয়া মহাতপা বাল্মীকি কালপুরুষ আসিয়া রামের সহিত্ত পুত্র অকালে মৃত্যুমুখে পতিত হইলে, ব্রাহ্মণ বগমেব প্রজাপালনেল দোষ কীৰ্ত্তন করেন । বাম তখন সেই ব্রাহ্মণ
