পাতা:ঝাঁশির রাণী - জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ঝাঁশির রাণী।
২৫

যিনি স্বহস্তে কমিশনর সাহেবের হাতে দিয়াছিলেন, সেই মার্টিন সাহেব এখনও জীবিত আছেন। তিনি রাণীঠাকুরাণীর দত্তকপুত্রকে যে পত্র লেখেন তাহার মধ্যে একস্থলে এইরূপ আছে —“তিনি (রাণী) একসিন সাহেবের নিকট জব্বলপুরে পত্র পাঠাইয়া দেন, আমি সেই পত্র নিজহস্তে কমিশনার সাহেবকে দেই—রাণীর কৈফিয়ৎ শুনিয়া তিনি কি বলেন, আমি জানিতে উৎসুক হইলাম—কিন্তু না!–ঝঁশির নাম খারাপ হইয়া গিয়াছে; কিছু না শুনিয়াই—কোন বিচার না করিয়াই, ঝাঁশি অপরাধী সাব্যস্ত হইল।”

 অতএব দেখা যাইতেছে, প্রথমে রাণী ইংরাজের বিরুদ্ধে ছিলেন না, তাঁহাদিগের প্রতিনিধিস্বরূপ ঝুঁশি-রাজ্য শাসন করিতেছিলেন মাত্র।

 এদিকে, আঁশি-রাজ্য ইংরাজের হস্তচ্যুত হইয়া আবার রাণীর হস্তগত হইয়াছে দেখিয়া, ঝাঁশিরাজ্যের একজন দাবীদার সদাশিব-দামোদর এই অবসরে কঁশির গদি অধিকার করিবার জন্য সচেষ্ট হইলেন। ঝুঁশির ৩০ মাইল দূরে, করেরা নামক একটি কেল্লা দখল করিয়া সদাশিব-রাও “ঝাঁশির মহারাজা” এই উপাধি ধারণ করিলেন। ঝঁশির রাণী এই কথা শুনিবামাত্র এক সহস্র সৈন্য তাহার বিরুদ্ধে প্রেরণ করিলেন। সেই সৈন্যমণ্ডলী করেরা অবরোধ করিয়া তাঁহাকে আক্রমণ করিতে উদ্যত হইলে, তিনি সিন্ধিয়ার রাজ্যে পলায়ন করিলেন এবং সেখান হইতে ঝাঁশি আক্রমণের উদ্যোগ করায়, রাণী তাহার বিরুদ্ধে পুনর্ব্বার সৈন্য প্রেরণ করিলেন। সৈন্যগণ সদাশিবকে এইবার বন্দী করিয়া আনিল।

 একদল শত্রু পরাভূত না হইতে হইতেই ঝাশির নিকটস্থ বোছ। নামক রাজ্যের - দেওয়ান নথে-খ বিশ সহস্র সৈন্য সমভিব্যাহারে ঝঁশির বিরুদ্ধে যাত্রা করিল। এবং ঝঁশির নিকটস্থ বেত্রবতী নদীর তীরে আসিয়া উপস্থিত হইল। এই সময়ে রাণীর সৈন্য অতি অল্প ছিল। নথে-খা রাণীঠাকুরাণীকে বলিয়া পাঠাইলঃ—“ইংরাজ-সরকার তোমার