b"8 ঢাকার ইতিহাস। [ ১ম খঃ প্রাচীন খাত বলিয়া অনুমান করেন। পূৰ্ণয় হইতে আরম্ভ করিয়া দক্ষিণে বরিশাল পর্য্যন্ত স্থান মধ্যে যে সমুদয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্রোতস্বতী নিম্নবঙ্গের বক্ষোদেশ ভেদ করিয়া বক্র গতিতে প্রবাহিত হইতেছে, আয়তন অনুসারে উহাদের গভীরতা অত্যন্ত বেশী বলিয়া পরিলক্ষিত চষ্টা থাকে। এই নদীগুলির নামেরও একটু বিশেষত্ব আছে। পূর্ণিয়ার বনগঙ্গা ঢাকা জেলার কালীগঙ্গা, নারায়ণীগঙ্গ, পোড়াগঙ্গা, বুড়িগঙ্গা, যশোহরের নবগঙ্গা, বরিশালের হরগঙ্গা প্রভৃতি নদীগুলির প্রত্যেকেরই নামের অন্তে ‘গঙ্গা” শব্দ থাকায় উহার যে গঙ্গারই শাখানদী মাত্র তদ্বিষয়ে সন্দেহ নাই । রেণেল বলেন “গঙ্গা" শব্দ এখানে নদার্থক ; কিন্তু তাহা ইষ্টলে বঙ্গের অন্যান্ত স্থানের নদীগুলিরও ঐ প্রকার নাম হওয়া স্বাভাবিক ছিল। নামের এবম্বিধ সামঞ্জস্ত ও বিশেষত্ব টুকু বড়ই আশ্চৰ্য্যজনক । হ্যামিণ্টনের পূৰ্ব্বোল্লিখিত যুক্তির সহিত নদীর নাম গুলির বিশেষত্ব ও অবস্থান প্রভৃতির বিষয় পর্যালোচনা করিলে আমরা যে সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছি, উহাই সমীচীন বলিয়া বোধ হয় না কি ? প্রাচীন ম্যাপ দৃষ্টি ইহা স্পষ্টই উপলব্ধি হয় যে, জাফরগঞ্জ হইতে বিলের এই শ্রেণী বরাবর দক্ষিণ পূৰ্ব্ব দিকে চলিয়াছে। জাফরগঞ্জ হইতে এই শ্রেণী আইরল বিলের মধ্য দিয়া দক্ষিণ পূৰ্ব্ব দিকে বরিশাল জেলার অন্তর্গত হরিণাঘাটার মোহানা পৰ্য্যন্ত যাইয়া শেষ হইয়াছে। নদী শুষ্ক হইয়া অথবা উহার প্রবাহ পরিবর্তন হেতুই যে বিল অথবা ঝিলের উৎপত্তি হইয়াছে, ইছামতী নদীর বর্তমান শোচনীয় অবস্থা দৃষ্টিও তাহ উপলব্ধি হইতে পারে (১ )। { } ), See A. C. Sen's Report