পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাঠ মাটি দিয়ে গড়া বাড়ীগুলি আদিম স্থাপত্য শিল্পেরও কুৎসিৎ ব্যঙ্গ । বদরঙ্গ একটু তলানি জলের দীঘি, ভাঙ্গা ইটের পুরাণে শ্ৰীহীন ঘাট, আগাছা ভরা পচা মাটির গৰ্ত্তে পচা ডোবা-পুকুর, এবড়ো খেবড়ো কৰ্কশ। বর্ণহীন মাঠ। আর কি বিশ্ৰী পোষাক আর চেহারা মানুষগুলির, কি দৃষ্টিকটু সব গরু বাছুর। এখন ওসব চোখের আড়ালে। হীরেণ আরাম পেল । ধূলোয় ভরা। কঁচা উঁচু পথ দিয়ে চলতে চলতে এক মোড়ে এসে হীরেন দাড়াল। গামছা কঁধে গরু তাড়িয়ে বাড়ী ফিরছিল কাৰ্ত্তিক । মাঝবয়সী জোয়ান মানুষ, বুকে পিঠে ছড়ানো দাদা। বঁদিকের গালেও ggD D BDDBYSB D DDDDBD DE BBBBS ‘মদের দুকান ? বলতি পারতাম। বাবু। ওই যে বুড়ে বটগাছ দেখতিছেন, ওনার গায়ে হাট। হাটের পিছে মাগিদের ঘর-দু’রশি তফাতে চরণ সা’র দুকান ৷” হীরেন। ধীরে ধীরে এগিয়ে গেল। অতি প্ৰাচীন এক বটগাছের কাছে কতগুলি শূন্য চালা। আজ হাটবাজার নয়। পূর্বে একটু তফাতেই গায়ে গায়ে লাগান ছোট আট দশখানা টিনের ঘর, অল্প খানিকটা জমির মধ্যে জমাট করা ঘরগুলির মধ্যে দু’হাত চওড়া গালিও আছে । বাইরে দু’তিনটি স্ত্রীলোক দেখা গেল। দেখলেই বোঝা যায়। তারা দেহের ব্যবসা করে, অতি গরীব এবং ছোট জাতের মেয়ে। খোপা বেঁধে ফুল ওঁজেছে, পান খেয়ে কাল ঠোঁট রাঙ্গিয়েছে, সেমিজ ছাড়াই সস্তা তাতের শাড়ী পরেছে, আর দাড়িয়েছে ভঙ্গি করে, যে ভঙ্গি এদের ख्ख्)म श्Cध युश् । কিছু দূরেই বাগিদ পাড়া। দেখলেই চেনা যায়। বিশ্ব যাদের বর্জন করেছে, চারিদিকে অনেক খালি জমি পড়ে থাকতেও যারা একটুখানি জমিতে ছোট ছোট ভাঙ্গাচোরা কুঁড়ে তুলে গড়ে তোলে &O3