পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খানিকটা মদ মুখে ঢেলে গিলে ফেলেই হীরেন বোতলটা ছুড়েফেলে দিল। রামপাল তৎক্ষণাৎ সেটা কুড়িয়ে আনল। হীরেন। উদাসভাবে বলল, “তুমি খাবে রামপাল ? খাও। লজ্জা fo, e o একটু তফাতে সরে হীরেণের দিকে পিছন ফিরে পাঁচ মিনিটের মধ্যে রামপাল বোতলটা খালি করে দিল । অৰ্দ্ধেক মদ পড়ে গিয়েছিল, নয় তো পাচমিনিটে এক পাইট মদ গিলবার ক্ষমতা রামপাল অর্জন করেনি। ফোকরে গিয়ে বোতল ফিরিয়ে দিয়ে পয়সাও সে নিয়ে এল। হীরেন করুণ সুরে বলল, “কিন্তু আমার কি হবে রামপাল ? বিলিতি কোথায় পাব ? বিলিতি নইলে তো আমার চলবে না ।” রামপাল আপশোষ করে বলল, “এ লক্ষ্মীছাড়া গায়ে বিলিতি কোথায়, পাবেন বাবু। কে আর ওসব খায়, অত দামী জিনিষ? এক ওই হেরম্ব বাবু খায়, সদর থেকে ওর বাক্স বোঝাই মন্দ আসে।” দুঃসহ অনিবাৰ্য্য বিপদের মত রাত্রি বাড়তে থাকে। মাথার মধ্যে আতঙ্ক চাপ দিচ্ছে । আগে জানলে সে সদরে চলে যেত । এখন তাও সম্ভব নয়। কি বোকার মতই সে ভেবেছিল শুষ্ঠাম্পেন হুইস্কি ব্র্যাণ্ডি না হোক, দেশী মদ খেয়েই আজ নেশা করবে-তার দরকারী নেশা, অপরিহাৰ্য্য নেশা । দেশী মদ যে খাওয়াই যায় না। সে কি তা खनऊँ ! আরেকবার চেষ্টা করবে ? রামপাল আরেক পাইট মদ নিয়ে এল। একটা টুলও কি করে যেন যোগাড় করল। চালার খানিক দূরে টুলে বসে অতি কষ্টে জল মিশিয়ে কিছু মন্দ হীরেন পেটে চালান করে দিল। তখন মনে হল খেতে কষ্ট যেন আর বেশী হচ্ছে না । ইচ্ছা করলে এইখানে টুলে বসে। বোতলের পর বোতল এই দেশী মদ সে চালিয়ে যেতে পারে। আতঙ্ক RSe