পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিন তিনেক পরে কৃষ্ণেন্দুর সঙ্গে মমতা যাচ্ছে খালাধারের মজুর বস্তিতে মেয়েদের এক সাপ্তাহিক মজলিস গড়বার আয়োজন করতে, রামপাল ও রম্ভার কাহিনী শুনে সে উল্লসিত হয়ে উঠল । সম্প্রতি সে কারণে অকারণে উল্লাস বোধ করছিল।

  • ७८ वि८ छ्च न ?° “কি জানি । হয় বোধ হয় ।” “এক কাজ কর। মেয়েটির বাবার কাছে চিঠি লিখে দাও।” “রামপালকে একবার জিজ্ঞেস করব না ?” ‘ওকে জিজ্ঞেস করেই লেখো ।” কৃষ্ণেন্দু একটু ভেবে বলল, “চিঠি লিখে কাজ নেই, বীরেশ্বর শীগগির কলকাতা আসবে আরেকবার, মুখেই বলব। তখন ৷”

মমতা অসহিষ্ণু হয়ে বলছিল, “না না, কালকেই তুমি চিঠি লিখে L Bzz S S DBDLL DDBBOD DBLL SS “মতলব ?” “আছে। আমাদের বাড়ীতে একদিনে দু’টি বর বিয়ে করতে যাবে-তীরেন আর রামপাল ৷ ঝুমুরিয়া থেকে ওদের সকলকে আমি আনাব । সেদিন সব একাকার করে দেব আমি । পাশাপাশি বিযে হবে, এক আসরে সবাই একত্র বসবে, পাশাপাশি বসে খাবে।-ভদ্রলোক, মজুর, চাষী সবাই । ওঃ, আমার ধৈৰ্য্য ধরছে না কেষ্টদা ! কালকেই তুমি চিঠি লেখো।” মমতার এ পাগলামিতে কৃষ্ণেন্দু সায় দেয় নি, রামপালের সঙ্গে কথা বলে বীরেশ্বরকে চিঠি লিখেছিল । বীরেশ্বর কলকাতা এসে বিয়ের প্রস্তাব পাকাপাকি করে গেল কিন্তু মমতার মতলব মানতে সে কিছুতেই রাজী হল না। বিয়ে যদি হয়, বিয়ে হবে ঝুমুরিয়ায়, বীরেশ্বরের নিজের বাড়ীতে । কলকাতায় এসে পরের বাড়ীতে সে মেয়ের বিয়ে দেবে না । ) ܠ (•ሻ%ሽ¶ )-¢