পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাত্রে চুপি চুপি শুiামলালকে কথাটা সে জানিয়ে দেয়। শুমলাল শুনে ক্রুদ্ধ ও উদ্বিগ্ন হয়ে বলে, “বাড়ী ঢুকতে দেয়া উচিত নয়। ছোড়াকে । ৰাবা যে কি দেখেছে ছোড়ার মধ্যে, ই করে বসে গিলবে কথাগুনে । শুরু ঠাকুর এয়েছেন যেন, খাতির কত ? “মেয়ের বাপ নয় গো খালি, মেয়েও কথা গেলেন। ই করে । অ্যান্দিন কি টের পেয়েছি। ছুড়ির মনে কি আছে ?” কথাটা নিয়ে বাড়ীর মেয়েদের মধ্যে ক”দিন গুঞ্জন চলে-রম্ভ ছাড়া । বীরেশ্বরের মেজ ছেলে জীবনলালের বেী মায়া অন্য সকলের সামনে গম্ভীর মুখে বলে, “মাগো । একি কাণ্ড ?”-তারপর রম্ভাকে একা পেলে একগাল হেসে শুধোয়, ‘আমায় কেন বলিস নি অ্যাদিন ? বল ভাই সব, বলতে হবে ।” অ্যাদিন বলার কি ছিল ।রম্ভা ভেবে পায় না । সুৰ্য্যকে বিয়ে করতে তার আপত্তি নেই এর চেয়ে বেশী কি বলার আছে তাও সে ভেবে পায় না। পুরুষেরা নিজেদের মধ্যে কথাটা একটু নাড়াচাড়া করেই চুপ করে। যায়। শুষ্ঠামলাল একবার সুৰ্য্য সম্পর্কে বাবাকে সতর্ক করতে গিয়ে এত বয়সে এমন প্ৰচণ্ড ধমক খেয়েছিল, যা প্ৰায় গালের সামিল। বীরেশ্বরের কাছে আবার এবিষয়ে কথা তোলার সাহস কারো ছিল না । DD Bu D DBBBDB D DBDBBD DDDD DBDB D S লোনা জলের বন্যাও আসে কোন কোন বছর, সর্বনাশ করে দিয়ে যায়। বৃষ্টি মাথায় করে জলকাদা ভেঙ্গে সুৰ্য্যকে পাচনিখে যেতে আসতে হয় বলে এ বছর সুৰ্য্যের জন্য মমতা আর যে অপ্ৰত্যক্ষ শক্তি বেচারাকে কষ্ট দিচ্ছে তার বিরুদ্ধে রাগটা রম্ভার যেন বেশী হয় । জোরে বর্ষ নামলেই নিজেকে তার মনে হয় বন্দিনী, ঘরের মধ্যে ছটফট করতে করতে সে হাতে হাত কচলায়। তারপর ধৈৰ্য্য হারিয়ে উঠানে নেমে জলে ভিজে”