পাতা:দাক্ষিণাত্য.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম গর্ভাঙ্ক । ] प्रकिeोंडा আবেদীন। এই কথা ? এর জন্য এত আকুলত কেন মা ? মঞ্জলা । তোমার পিতা বোধ হয় প্রতিহিংসায় আমার পিছু-পিছুই আসূছেন । আবেদীন। নিৰ্ভয়! তাঁর অস্ত্ৰমুখে আমি বুক দিয়ে রইলুম। যাও মা আপনার মহলে । মঞ্জুল । তবে সব কথাগুলোই আমার শুনে থাক। এ হত ব্যক্তি কে, জান ? নিরুদ্দেশ যার ঘোষণা, গঙ্গু ব্ৰাহ্মণের পুত্ৰ-তোমার বন্ধু। আবেদীন । বন্ধু! বন্ধু! আমার সেলাম দিও খোদার কাছে । মঞ্জুল । অপরাধটা শুনবে ? বলা চলে না। সে কথা তোমার কাছে, কিন্তু বলতে হবে ; তুমি ভিন্ন মৰ্ম্মের দুঃখ ভেঙ্গে বলবার আর আমার সংসারে কেউ নাই। অপরাধ-তোমার পিতার অনুমান, আমার কক্ষে এসে সে যে শাস্ত্ৰ-আলোচনা করতো, সেগুলো তার রাজদ্রোহিত । কিন্তু সম্রাট আজ আবার সেটা উন্টে দিলেন-আমি ভ্ৰষ্টা অৰ্থাৎ আমার সঙ্গে তার একটা কুৎসিত সংসৰ্গ । আবেদীন। যাও—যাও মা ! পিতা অন্ধ !! আর পত্ৰকে বধির ক’রো না । উমেদ-আলি উপস্থিত হইলেন । উমেদ । না পুত্র! আর বধির হতে হবে না তোমায়। আমি তো অন্ধ নই, অন্ধকারে ছিলুম। দাড়াও মঞ্জুল ! যেও না, হত্যা করবো নাপূজা করবো তোমার। মঞ্জুল । স্বামি ! স্বামি !! অপরাধিনী আমি । উমেদ। নিরপরাধিনী তুমি,--শুধু তাই নয়, শিক্ষাদাত্রী তুমিনারীকুলের আদর্শ তুমি-যথার্থই স্ত্রী-রত্ন তুমি। নিজের সুখ-শাস্তি চাও