পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিবরাত্রির কাব্য Nاسرا আমি তো উচু বালিশ নইলে মাথায় দিতে পারি না। আচ্ছা তোমর! গল্প কর, আমি আমার কাজ করি গিয়ে। ওকে খেতে দিস আনন্দ।” আনন্দ গম্ভীর হয়ে বলল, “কি কাজ করবে। মা ?” “সাধনে বসব ।” “আজও তুমি ওই সব খাবে ? একদিন না খেলে চলে না তোমার ?” মালতীর মধ্যেও হেরম্ব বোধ হয় সাময়িক কিছু পরিবর্তন, এনে দিয়েছিল। রাগ না করে সে শান্ত ভাবেই বলল, “কেন, আজি কী ? হেরম্ব এসেছে বলে ? আমি পাপ করি না আনন্দ যে ওর কাছ থেকে লুকোতে হবে। হেরম্বও খাবে একটু।” আনন্দ বলল, “হঁ্যা, খাবে বৈকি ! অতিথিকে আর দলে টেনে | | ° মালতী বলল, “তুই ছেলেমানুষ, কিছু বুঝিাসনে, কেন কথা কইতে আসিস আনন্দ ? হেরম্ব খাবে বৈকি। তোমাকে একটু কারণ এনে দি হেরম্ব ?” বলে সে ব্যগ্ৰ দৃষ্টিতে হেরম্বের মুখের দিকে তাকিটে রইল । হেরম্বের অনুযানশক্তি আজ আনন্দসংক্রান্ত কৰ্ত্তব্যগুলি সম্পা: করতেই অতিমাত্রায় ব্যস্ত হয়েছিল । তবু নিজে কারণ পান করে একটি অস্বাভাবিক মানসিক অবস্থা অর্জন করার আগেই তাকে মদ খাওয়াবা জন্য মালতীর আগ্ৰহ দেখে সে একটু বিস্মিত ও সন্দিগ্ধ হয়ে উঠল। ভাবল, মালতী-বৌদি আমাকে পরীক্ষা করছে নাকি ? আমি মদ খা কিনা, নেশায় আমার আসক্তি কতখানি তাই যাচাই করে দেখছে ? মালতীর অস্বাভাবিক সারল্য এবং ভবিষ্যতে আসা-যাওয়া বজা