পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So দিবরাত্রির কাব্য বিক্ষেপে হেঁটে হেঁটে শুধু ভেবে গিয়েছে। পৃথিবীতে বাস করার অভ্যাস যেন তার নেই। প্রবাসে আপনার অনির্বচনীয় একাকীত্বের বেদনায় এমনি প্ৰগাঢ় ঔৎসুক্যের সঙ্গে সে সর্বদা স্বদেশের স্বপ্ন দেখে । আনন্দের আবির্ভাব হেরম্ব টের পেয়েছিল। কিন্তু সে যে মানসিক অবস্থায় ছিল তাতে এই আবির্ভাব কিছুক্ষণের জন্য মূল্যহীন হয়ে থাকতে বাধ্য । হেরম্ব হঠাৎ তার সামনে দাঁড়াল । “दाश्iग कद्भछि ख्ान्न् ।' “ব্যায়াম শেষ হয়ে থাকলে বসে বিশ্রাম করুন ।” হেরম্ব তৎক্ষণাৎ বসল। বলল, “তুমি বার বার মুখ ধুয়ে আসছ কেন ?” “মুখে ধূলো লাগে যে ” আনন্দ হাসবার চেষ্টা করল। তাদের অদ্ভুত নিরবলম্ব অসহায় অবস্থাটি হেরম্বর কাছে হঠাৎ প্ৰকাশ হয়ে যায়। তাদের কথা বলা অর্থহীন, তাদের চুপ করে থাকা ভয়ঙ্কর। পায়ের তলা থেকে তাদের মাটি প্ৰায় সরে গেছে, তাদের আশ্রয় নেই। মানুষের বহুযুগের গবেষণাপ্ৰস্থত সভ্যতা আর তারা ব্যবহার করতে পারছে না। দর্শন, বিজ্ঞান, সমাজ ও ধৰ্ম্ম, এমন কি, ঈশ্বরকে নিয়ে পৰ্য্যন্ত তাদের আলাপ আলোচনা আচল, এতদূর অচল যে, পাঁচ মিনিট ওসব বিষয়ে চেষ্টা করে কথা চালালে নিজেদের বিশ্ৰী অভিনয়ের লজ্জায় তারা কণ্টকিত হয়ে উঠবে। এই কক্ষের বাইরে জ্ঞান নেই, সমস্যা নেই, প্রয়োজনীয় কিছু নেই,-মানুষ পৰ্য্যন্ত নেই। তাদের কাছে বাইরের জগৎ মুছে গেছে, আর সে জগতকে কোন ছলেই