পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> R দিবারাত্রির ব্য মালতী এ কথা কানেও তুলল না, বলে চলল, “স্বপন V খারাপ হয়ে গেছে বাপু, যাই বল। আচ্ছা, চল না। আমরা দু’জনে একটু বেড়িয়ে আসি ক’দিন ? ওদের কষ্টি-বদলটা চুকিয়ে দিয়ে যাই, ওরা এখানে থাক। তুমি আমি বিন্দাবনে গিয়ে ঘর বঁাধি চল ।” মালতীর গাম্ভীৰ্য্যকে বিশ্বাস করে উপদেশ দেবার ভঙ্গিতে অনাথ বলল, “এখনো তোমার ঘর বঁাধবার সখ আছে, মালতী ? বনে যদি যাও। g७i 56 ।' মালতী তার আকস্মিক বিপুল হাসিতে অনাথের ক্ষণিকের অন্তরঙ্গত। চূৰ্ণ করে দিল। বলল, “কেন, বনে যাবার এমন কি বয়েসটা আমার হয়েছে শুনি ? রাধাবিনোদ গোসাই কঠি-বদলের জন্য সেদিনও আমায় সোধে গেল না ? মেয়ে টের পাবে বলে অপমান করে তাড়িয়ে দিলাম, ডাকলেই আবার আসে। তোমার চােখ নেই তাই আমাকে বুড়ী দ্যাখো ! না কি বল, হেরম্ব ? আমি বুড়ী ?” 温 • হেরম্বকে সে আবার চোখ ঠারল, “রাধাবিনোদ গোসাইকে জান হেরম্ব ? মাঝে মাঝে আমায় দেখতে আর সাধতে আসে-লক্ষ্মীছাড়া ব্যাটা। চেহারা যেমন হোক, পয়সা আছে। সেবাদাসীর খাতিরও জানে বেশ-সৌখীন বৈরিগি কিনা। তোমাদের এই মাষ্টারমশায়ের মৃত কাঠখোট্ট নয়।” অনাথ বলল, “কি সব বলছি, মালতী ?” মালতী হঠাৎ টোক গিলে এদিক-ওদিক তাকায়। দৃষ্টি দিয়ে অনাথকে গ্ৰাস করতে তার এই দ্বিধা দেখে হেরম্ব অবাক হয়ে যায়। কিন্তু মালতী নিজেকে চোখের পলকে বদলে ফেলে। ঔদ্ধত্যের সীমা