পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিবারাত্রির কাব্য অনেকক্ষণ পরে সে ঘরে ফিরে আসে । জানালা দিয়ে তাকিয়ে মন্দির-চত্বরে সমবেত ভক্তবৃন্দের মধ্যে সুপ্রিয়াকে আবিষ্কার করতে তার বেশীক্ষণ দেরী হয় না। তখন পূজা ও আরতি শেষ হয়েছে। মালতী। বিতরণ করছে মাদুলি। তার কাছে বসে সুপ্রিয়া তীব্র দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আনন্দের দিকে । হেরম্ব মিলিয়ে দেখল ক’দিনের বর্ষার পর আজ যে বঁঝালো রোদ উঠেছে, সুপ্রিয়ার চোখের আলোর সঙ্গে তার প্ৰভেদ নেই । প্ৰতিজ্ঞা-পালনের জন্য মালতীর জন্মদিনে অনাথ তার সমস্ত হুকুম মেনে চলে, প্ৰতিজ্ঞা পালনের জন্যই এখানে এসে হেরম্ব সুপ্রিয়াকে. • একখানা পত্র লিখেছিল । সুপ্রিয়া যে তাকে দিয়ে চিঠি লেখার প্রতিজ্ঞা করিয়ে নিয়েছিল তা নয়, কথা ছিল ঠিকানা জানাবার। চিঠি না লিখে একজনকে ঠিকানা জানানো যায় না বলে হেরম্ব বাধ্য হয়ে একখানা। চিঠিই লিখেছিল। ঠিকানা দিয়ে তার দুটি দরকারের কথা সুপ্রিয়া স্বীকার করেছিল। প্ৰথম, মাঝে মাঝে চিঠি লিখে হেরম্বকে সে তার কথা ভুলতে দেবে না । দ্বিতীয়, হেরম্ব কোথায় আছে জানা না থাকলে তার ষে কেবলি মনে হয় সে হারিয়ে গেছে, অসুখে ভুগছে, বিপদে পড়েছে, - এই দুশ্চিন্তাগুলির হাত থেকে সে রেহাই পাবে। খুসীমিত কাছে এসে হাজির হওয়ার একটা তৃতীয় প্রয়োজনও যে