পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

УУ О দিবরাত্রির কাব্য আমি একেবার মরে যাচ্ছিলাম। তিনি বুঝি আসতে দেন নি, যার সঙ্গে গেলে ?” ‘হঁ্যা, তার স্বামী আমাকে না খাইয়ে ছাড়লে না । পিঠে হাত বুলিয়ে দেব আনন্দ ?” “না, জালা করবে ।” হেরম্ব ব্যাকুল হয়ে বলল, “একটা কিছু করতে হবে তো ! নইলে জ্বালা কমবে কেন ? আচ্ছা সেঁক দিলে হয় না ?’ বলে হেরম্ব নিজেই আবার বলল, “তাতে কি হবে ।”

  • ५२ उताव् क८८ ।।'

‘কমে নি, জ্বালা টের পাচ্ছি না । তোমার পিঠ অসাড় হয়ে গেছে । বরফ ঘষে দিতে পারলে সব চেয়ে ভাল হত ।” ‘তা হত। কিন্তু বরফ তো নেই। তুমি বরং আস্তে আস্তে হাত বুলিয়েই দাও।” “বস, বরফ নিয়ে আসছি।” আনন্দের প্রতিবাদ কানে না তুলে হেরম্ব চলে গেল । সহর পর্য্যন্ত হেঁটে যেতে হল । বরফ কিনে সে ফিরে এল গাড়ীতে ! আনন্দ ইতিমধ্যে মেঝের জল মুছে ভিজে বিছানা বদলে ফেলেছে। সে যে সোনার পুতুল নয় এই তার প্রমাণ । এত কষ্ট করে বরফ সংগ্ৰহ করে এনেও এক ঘণ্টার বেশী আনন্দের পিঠে ঘষে দেওয়া গেল না। বরফ বড় ঠাণ্ড । আনন্দ চুপ করে শুয়ে রইল, হাত গুটিয়ে বসে রইল হেরম্ব । যে কোন কারণেই হোক, আনন্দকে মালতী যে এমন ভাবে মারতে পারে সে যেন তা ভাবতেই পারছিল না।