পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sq\O দিবরাত্রির কাব্য ‘ফিরে গিয়ে কি কৈফিয়ৎ দিবি ?”

  • ऊद्र | ८ ||° নীরবে দু’জনে এগিয়ে চলল। সমুদ্রতীর পথ নয়। কিন্তু হেঁটে বড় আরাম। পাশে অনন্ত সমুদ্রের গা ঘেঁষে সমুদ্রতীরও কোথায় কতদূর চলে গেছে, শেষ নেই। সঙ্গী নিয়ে নিঃশব্দে হাটবার সুবিধাও এইখানে, সমুদ্রের কলরব নীরবতাকে প্রচ্ছন্ন করে রাখে, পীড়ন করতে দেয় না।

লেখেন নি কেন ?” ‘লিখি নি ? ভুল হয়ে গিয়েছিল।” ‘আমি খবর পেয়েছিলাম। ও সাক্ষী দিতে একবার পুরী এসেছিল। গিয়ে বলল আপনি এক তান্ত্রিকের আড্ডায় ডুবিতে বসেছেন।” “তান্ত্রিক নয়, বৈষ্ণব ।” “মেয়েটাকে দেখেই আমার ভাল লাগে নি। ওর মা-টা আরও age হেরম্ব গম্ভীর হয়ে বলল, “তুই বুঝি ভুলে গেছিস সুপ্রিয়া, কতকগুলি কথা আছে মুখ ফুটে যা বলতে নেই ?” সুপ্রিয়া কলহের সুরে বলল, “চুপ করে থাকিব, না ? আমি তা পারব না। আমি মেয়েমানুষ, অতি উদার আমি হতে চাই না। পারলে ওই রাক্ষসীকে আমি বিষ খাইয়ে গল টিপে মেরে ফেলব, এই আপনাকে আমি স্পষ্ট বলে রাখলাম।” হেরম্ব অনাথের মত অনুত্তেজিত কণ্ঠে বলল, “তুই যে ক্রমেই মালতীবৌদি হয়ে উঠছিস, সুপ্রিয়া !”