পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিবারাত্রির কাব্য ܠܹ ܘܢ. আজ তোমাকে এমন নাচ দেখাব তুমি যা জীবনে কখনো দেখ নি। দেখো, তোমার রক্ত টগবগা করে ফুটবে। এই দেখ, আমার পা চঞ্চল হয়ে উঠেছে ৷” আনন্দের এই সংক্ৰামক উন্মাদন আনন্দের নৃত্যপিপাসু চরণের মত হেরম্বের বুকের রক্তকে চঞ্চল করে দিল। শক্ত করে পরস্পরের হাত ধরে তারা খোলা উঠানে গিয়ে দাড়াল। সকালে ঝড়বৃষ্টির পর ষে রোদ উঠেছিল তাতে উঠান শুকিয়ে গিয়েছিল, তবু উঠানভির বর্ষাকালের বড় বড় তৃণের স্পর্শ সিক্ত ও শীতল। আনন্দের নাচের জন্যই যেন নিশীথ আকাশের নীচে এই সরস কোমল গালিচা বিছানো আছে। “কি নাচ নাচবে আনন্দ ? চন্দ্ৰকলা ?” “না। সে তো পূর্ণিমার নাচ। আজ অন্য নাচ নাচব ।” ‘নাচের নাম নেই ?” “আছে বৈকি। পরীনুত্য । আকাশের পরীরা এই নাচ নাচে । কিন্তু আলো চাই যে ?” ‘काव उवावधि डॉनन ।।” ঘরে ঘরে অনুসন্ধান করে হেরম্ব তিনটি লণ্ঠন আর একটি ডিবরি নিয়ে এল। আলোগুলি জেলে সে ফাকে ফঁাকে বসিয়ে দিল । আনন্দ বলল, “এ আলোত্ত্বে হই । আরো আলো চাই। তুমি এক কাজ কর, রান্নাঘরে কার্টুনর্দিষ্ট । এনে একটা ধুনি জেলে দাও।” “ধুনি আনন্দ ?” *சூர் আনন্দ অধীর হয়ে বলল, “কোন দেরী করছ ? কথা কইতে আমার ভাল লাগছে না । বোক চলে গেলে কি করে নাচব ?”

  • Yale