পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ዓ দিবরাত্রির কাব্য অনাথ নিশ্বাস ফেলে বলল, “ভগবান! পৃথিবীতে মানুষ এক বেঁচে, থাকতে আসে নি। সকলের এটা যদি সব সময় খেয়াল থাকত। মালতীকে না দেখলে তোমার চলবে না। হেরম্ব ?” হেরম্ব ক্ষুন্ন হয়ে বলল, “আপত্তি করছেন কেন ?” অনাথ তার কাধে হাত রেখে বলল, “দুর্বলতা । মনের দুর্বলতা হেরম্বা | চলে ।” সহরের নির্জন উপকণ্ঠে সাদা বাড়ীটি পার হয়ে হেরশ্বের মনে হল, এইখানে সাহর শেষ হয়েছে। অনেকক্ষণ সমুদ্রের অর্থহীন অবিরাম কলরব শুনে হেরম্বের মস্তিষ্ক একটু শ্ৰান্ত হয়ে পড়েছিল। এখানে সমুদ্রের ডাক মৃদুভাবে শোনা যায়। হেরম্বের নিজকে হঠাৎ ভারমুক্ত, মনে হচ্ছিল । অনাথ গভীর চিন্তামগ্ন অন্যমনস্ক অবস্থায় পথ চলছে । হেরম্ব তাকে প্রশ্ন করে জবাব পায় নি একটারও । বেলা আর বেশী। অবশিষ্ট নেই। পথের দু’পাশে খোলা মাঠে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে বলে রাখালেরা গরুগুলিকে একত্র করছে। পথ সোজা এগিয়ে গিয়েছে। Jዝi°ICሙ፲ | আরো খানিকদূর গিয়ে হেরম্ব ভাঙ্গা প্রাচীরে ঘেরা বাগানটি দেখতে পেল । সামনে পৌছে হঠাৎ সচেতন হয়ে অনাথ বলল, “এই বাড়ী ।” কোথায় বাড়ী ? বাড়ী হেরম্ব দেখতে পেল না । বাগানের শেষের দিকে গাছপালায় প্রায় আড়াল-করা ছোট একটি মন্দির মাত্র তার চোখে পড়ল। ‘বাগানে গোলাপ গন্ধরাজ ফোটে কিনা বাইরে থেকে অনুমান করার উপায় ছিল না। যে গাছে হয়ত ফুল ফোটে কিন্তু গন্ধ দেয় না, বে গাছের ফল। অথবা পাতা মানুষে খায়, তাই দিয়ে বাগানটিকে ঠে১ে