পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিবরাত্রির কাব্য মানুষের মত তবু সে আনন্দের প্রতি তার এই তুচ্ছ অমনোযোগে আশাচৰ্য্য হয়ে যায় । Tr হেরম্ব এটাও বুঝতে পারে, তার কাছে জীবনের ব্যাখ্যা শুনতে আনন্দ ইচ্ছুক নয়। জীবন কি, জীবনের উদ্দেশ্য আছে কি নেই, এসব, তত্ত্বকথায় ওর বিরক্তি বোধ হচ্ছিল । * অন্য সময় বিশ্লেষণ ওর ভাল লাগে। কিনা হেরম্ব জানে না, কিন্তু আজি সন্ধ্যায় তার মুখের বিশ্লেষণ ওর কাছে শাস্তির মত লেগেছে । সে থেমে যেতে আনন্দ স্বস্তি লাভ করেছে । সে ব্রোমিও জুলিয়েটের কথা বলুক, প্রেমের ব্যাখ্যা করুক, আনন্দ মন দিয়ে শুনবে । কিন্তু সেইখানেই তার ধৈৰ্য্যের সীমা । অনুভুতির সমন্বয় করা: জীবনের সমগ্রতাকে সে জানতে চায় না, বুঝতে চায় না, ভাবতে চায় না । তাই হোক । তাই ভাল । হেরম্ব জিজ্ঞাসা করল, ‘চন্দ্ৰকলা নাচট্য কি আনন্দ ?” আনন্দ বলল, “ধরুন, আমি যেন মরে গেছি । অমাবস্তার চাদের মত আমি যেন নেই। প্ৰতিপদে আমার মধ্যে একটুখানি জীবনের সঞ্চার, হল। ভাল করে বোঝা যায় না। এমনি এক ফোটা একটু জীবন : তারপর চাদ যেমন কলায় কলায় একটু একটু করে বাড়ে আমার জীবনও তেমনি করে বাড়ছে । বাড়তে বাড়তে যখন পুণিমা এল, আমি পূর্ণমাত্রায় বেঁচে উঠেছি। তারপর একটু একটু করে মারে--> SSLLL BBL DBK DDS SDDB SS “কেন ?” ‘একটু একটু করে মরার নাচ নেচে তোমার যদি সত্যি সত্যি মরতে, छेछ। छ्ब्र ?”