পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিবরাত্রির কাব্য س؟ দিয়েছে। তার জীবনে ওর কর্তৃত্ব এখন সামান্য নয়, তার হৃদয়মনের নিয়ন্ত্রণে ওর প্রচুর যথেচ্ছাচার সম্ভব হয়ে গিয়েছে। যতক্ষণ পারে দেরী করে মালতীকে এবার আসতে হল । -- “তোমাদের দুটিতে দেখছি দিব্যি ভাব হয়ে গেছে ।” আনন্দ বলল, “আমরা বন্ধু, মা ।” ‘বন্ধু!” মালতীর স্বরে অসন্তোষ প্ৰকাশ পেল। “বন্ধু কি লো ছুড়ি। হেরম্ব নে তোর গুরুজন, শ্রদ্ধার পাত্ৰ ।” “বন্ধু বুঝি অশ্রদ্ধার পাত্র মা ?” মালতী মাটির প্রদীপ জেলে এনেছিল । মন্দিরের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে সে আরও একটি বৃহৎ প্ৰদীপ জেলে দিল। হেরম্ব উঠে এসে দরজার কাছে দাঁড়াল। মন্দির প্রশস্ত, মেঝে লাল সিমেণ্ট করা। দেবতা শিশুগোপাল । ছোট একটি বেদীর উপর বাৎসল্য আকর্ষণের ভঙ্গীতে দাড়িয়ে আছেন । মালতী দুটি নৈবেদ্য সাজাচ্ছিল । হেরম্ব দেবতাকে দেখছে, মুখ না ফিরিয়েই এটা সে কি করে টের . পেল নবলৈ যায় না । “কি রকম ঠাকুর, হেরম্ব ?” “বেশ, মালতী-বৌদি।” আনন্দ ওঠে নি। সেইখানে তেমনিভাবে বসেছিল । হেরম্ব ফিরে

१. डॉट्र क८छ् बगळा |

“তুমি দেবদাসী নাকি আনন্দ ?”