নীল-দপণ brఫ్ আমাকে আর তোরাপকে সঙ্গে লইয়। নীলক্ষেত্রে গমন করিলেন এবং কাদিতে২ সাহেবকে বলিলেন “হুজুর আমি আপনাকে ৫০ টাকা সেলামি দিতেছি, এ বৎসর এ স্থানটায় নীল করবেন না, আর যদি এই ভিক্ষা না দেন তবে টাকা লইয়া গোরিব পিতৃহীন প্রজার প্রতি অনুগ্রহ করিয়া শ্রাদ্ধের নিয়ম ভঙ্গের দিন পর্য্যস্ত বুনন রহিত করুন।” নরাধম যে উত্তর দিয়াছিল তাহ পুনরুক্তি করিলেও পাপ আছে, এখনও শরীর রোমাঞ্চিত হইতেছে, বেটী বল্যে “যবনের জেলে চোর ডাকাইতের সঙ্গে তোর পিতার ফাস হইয়াছে, তার শ্রাদ্ধে অনেক ষাড় কাটিতে হইবে সেই নিমিত্তে টাকা রাখিয়া দে” এবং পায়ের জুতা বড়বাবুর হাটুতে ঠেকাইয়া কহিল, “তোর বাপের শ্রাদ্ধে ভিক্ষ এই ৷” পুরে। নারায়ণ ! নারায়ণ ! ( কর্ণে হস্ত দান ) সাধু। অমনি বড়বাবুর চক্ষু রক্তবর্ণ হইল, অঙ্গ থর থর করিয়া কঁাপিতে লাগিল, দস্ত দিয়া ঠোট কামড়াইতে লাগিলেন এবং ক্ষণেক কাল নিস্তব্ধ হয়্যে থেকে সজোরে সাহেবের বক্ষঃস্থলে এমন একটি পদাঘাত করিলেন, বেটা বেনার বোঝার স্যায় ধপাৎ করিয়া চিত হইয়া পড়িল । কেশে ঢালী, যে এখন কুটির জমাদার হইয়াছে, সেই বেটা ও আর দশ জন সুড়কীওয়াল, বড়বাবুকে ঘেরাও করিল, ইহাদিগকে বড়বাবু একবার ডাকাতি মাদ হইতে বাচাইয়াছেন, বেটার বড়বাবুকে মারিতে একটু চক্ষুলজা বোধ করিল, বড়সাহেব উঠিয়া জমাদারকে একট। ঘুসি মারিয়া তাহার হাতের লাঠি লইয়া বড়বাবুর মাথায় মারিল, বড়বাবুর মস্তক ফাটিয়া গেল, এবং অচৈতন্য হইয়া ভূমিতে পড়িলেন, আমি অনেক যত্ন করিয়াও গোলের ভিতর যাইতে পারিলাম না, তোরাপ দূরে দাড়াইয়। দেখিতেছিল, 28
