পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীল-ৰূপণ » •(! নবীনের কায়স্তিনী পতিশোকে ব্যাকুল, কিন্তু পতির সদ্‌গতির উপায়ানুরক্ত । সাধু । আহ ! আহা ! মাঠাকুরুণ যদি ক্ষিপ্ত না হইতেন তবে এ অবস্থা দর্শন করিয়া বুক ফেটে মরিতেন। ডাক্তরবাবুও মাথার ঘা সাংঘাতিক বলিয়াছেন । কবি । ডাক্তরবাবুট অতি দয়াশীল, বিন্দুবাবু টাকা দিতে উদ্যোগী হইলে বলিলেন “বিন্দুবাৰু তোমরা যে বিব্রত, তোমার পিতার শ্রাদ্ধ সমাধা হওয়ার সম্ভব নাই, এখন আমি তোমার কাছে কিছু লইতে পারি না, আমি যে বেহারায় আসিয়াছি সেই বেহারায় যাইব তাহাদের আপনার কিছু দিতে হবে না।” হুঃশাসন ডাক্তর হল্যে কৰ্ত্তার শ্রাদ্ধের টাকা লইয়া যাইত । বেটাকে আমি দুই বার দেখিছি, বেট। যেমন হুমুখে তেমনি অর্থপিশাচ । সাধু। ছোটবাবু ডাক্তরবাবুকে সঙ্গে কর্যে ক্ষেত্রমণিকে দেখিতে আসিয়াছিলেন, কিন্তু কোন ব্যবস্থা করিলেন না । আমার নীলকর অত্যাচারে অন্নাভাৰ দেখে ক্ষেত্রমণির নাম কর্যে ডাক্তরবাবু আমারে দুই টাকা দিয়ে গিয়েছেন । কবি । দুঃশাসন ডাক্তর হল্যে হাত না ধর্যে বলতে বঁাচুবে না, আর তোমার গোরু বেচে টাকা লইয়। যাইত । রেবতী । মুই সববস্ব বেচে টাকা দিতি পারি মোর ক্ষেত্রকে যদি কেউ বেঁচুয়ে দেয়। চাল লইয়া রাইচরণের প্রবেশ কবি । চালগুলিন প্রস্তরের বাটিতে ধৌত করিয়া জল আনয়ন কর । - রেবতীর তণ্ডুল গ্রহণ X le