হৃদয়ের যত্নটুকু শশাঙ্কের আরামকে অলংকৃত করে। কিন্তু আরামের কথা তুলে কী হবে, যখন প্রতিদিনই স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে, আরামটা সামান্য হয়ে গেছে, স্বামী হয়েছে খুশি।
এইদিক থেকে শর্মিলার মনে এল অশান্তি। রােগশয্যায় এপাশ-ওপাশ ফিরতে ফিরতে নিজেকে বার বার ক’রে বলছে, “মরবার আগে ঐ কথাটুকু বুঝে গেলুম; আর সবই করেছি, কেবল খুশি করতে পারিনি। ভেবেছিলুম ঊর্মিমালার মধ্যে নিজেকেই দেখতে পাব, কিন্তু ও তাে আমি নয়, ও যে সম্পূর্ণ আর এক মেয়ে।” জানলার বাইরের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে ভাবে, “আমার জায়গা ও নেয়নি, ওর জায়গা আমি নিতে পারব না। আমি চলে গেলে ক্ষতি হবে কিন্তু ও চলে গেলে সব শূন্য হবে।”
ভাবতে ভাবতে হঠাৎ মনে পড়ে গেল, শীতের দিন আসছে, গরম কাপড়গুলো রােদ্দুরে দেওয়া চাই। ঊর্মি তখন শশাঙ্কর সঙ্গে পিং পং খেলছিল, ডেকে পাঠালে।
বললে, “ঊর্মি, এই নে চাবি। গরম কাপড়গুলাে ছাদের উপর রােদে মেলে দে গে।”
ঊর্মি আলমারিতে চাবি সবেমাত্র লাগিয়েছে এমন