পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কি পাগল, আচ্ছা, পাষণ্ডদালনের অনুকরণে লেখা ওর বই কে পড়বে যে রাত নেই দিন এই বই লিখছে ! ওর মুখ দেখলে আমার কষ্ট হয়। ওই এক খেয়াল ওর। মালতীয় ঙ্গে বিষ্ণুমন্দিরে গেলাম। মালতীর এই এক গুণ, ও যখন মেশে তখন মেশে নিঃসঙ্কোচে, দার ভাবে । সে-সম্বন্ধে কোনো বাধা বা সংস্কার ও মানে না । কেন এই সন্ধ্যাতে আমার সঙ্গে একা যাবে পুকুরপাড়ের বিষ্ণুমন্দিরে-এ-সব নিয়ে সঙ্কোচ নেই। ওর। মন্দিরের থে যেতে যেতে মনে হ’ল মালতীকে পেয়ে আমার এই বর্ষাসন্ধ্যাটি সার্থক হ’ল । ওকে ছেড়ে |ার কিছু চাই নে। কাঞ্চন ফুলতলায় গিয়ে বললাম-সেই গানটা গাও না, সেদিন গাইছিলে নাগুন করে !! মালতী ছেলেমানুষের মত ভঙ্গিতে বললে-উদ্ধব-জ্যাঠা যে শুনতে পাবেন ? --ত পাবেন, পাবেন। —তবে আসুন পুকুরের ঘাটে গিয়ে বসি । মালতীর মুখে গানটা বেশ লাগে-দু-তিনবার শুনলাম । আমার নয়নে কৃষ্ণ নয়নতার হৃদয়ে মোর রাধা-প্যারী আমার বুকের কোমল ছায়ায় লুকিয়ে খেলে বনবিহারী। গান শেষ হ’লে বললাম-শোন একটা কথা বলি মালতী, তুমি আস না কেন ? তোমাকে দেখলে আমার বড় কষ্ট হয়। আজ সারাদিন বসেছিলুম ঘরের দাওয়াতে, এমন বর্ষা গেল' —তুমি চৌষট্টিবার আমার ঘরের সামনে দিয়ে যাও, একবার তো এলে পারতে ? তোমার -সব নেই। শুধু কাজ আর কাজ। এই যে তোমাকে পেয়েছি, আর আমার যেন সব ভুল য়ে গিয়েছে-সত্যি বলছি মালতী । মালতী মুখ নীচু ক’রে হাসি-হাসি মুখে চুপ ক’রে রইল। আমি বললাম-হাসলে চলবে না। মালতী। কথার আমার উত্তর দাও । তুমি কি ভাবে আমি তোমাদের এখানে পড়ে আছি খেতে পাই নে বলে তাই ? তা নয় । -- কে বলেছে আপনাকে যে না খেতে পেয়ে এখানে আছেন ? আমি আপনাকে বলেছি কি ? --যাক ওসব বাজে কথা । আমার কথার উত্তর দাও । মালতী আবার ছেলেমানুষি আরম্ভ করলে। মুখ নীচু ক’রে হাঁটুর কাছে ঠেকিয়ে মৃদু মৃদু। সিমুখে হাত দিয়ে শানের ওপর কি আঁকজোক কাটতে লাগল, কখনই ওর কাছে আমার ५iद्ध cजांच छयादि gotaiभ भी । এক দিন বেড়াতে গিয়ে বঁধের ওপর ব’লে আমার অবস্থাটা ভেবে দেখলুম। আমি se