কোন বিশেষ উদ্দেশ্য চালিত হইয়াই, আনার-উন্নিসা এই ভাবে বেশ ভূষা করিয়াছিল।
বাহারবানুকে কক্ষ মধ্যে উপস্থিত দেখিয়া, আনার-উন্নিসা তাহার হাত ধরিয়া অতি যত্নের সহিত এক সোফার উপর বসাইয়া বলিল,—“সে দিন আমাদের উভয়েরই বুঝিবার দোষে একটা বড়ই অপ্রীতিকর ব্যাপার ঘটিয়া গিয়াছিল। এজন্য আমি বড়ই দুঃখিত বহিন্!”
বাহার— প্রথমতঃ বিস্মিত হইল, আনারের সমুজ্জ্বল বেশ-ভূষা দেখিয়া। তারপর সে দেখিল, সে দিনের সেই রুক্ষ্ম প্রকৃতি আনার-উন্নিসার পরিবর্ত্তে, সে এক শান্তমূর্ত্তি স্বর্ণপ্রতিমার সমক্ষে উপস্থিত হইয়াছে। সে স্বর্ণ-প্রতিমা স্ফুরিতাধরা, হাস্যময়ী, ও অতি মিষ্টভাষিণী।
মনের ভাব গোপন করিবার শক্তি, বাহারবানুকে বিধাতা যথেষ্টই দিয়াছিলেন। সুতরাং, সে আদব-কায়দার সহিত তাহার সুন্দর হাতখানি তুলিয়া, আনারকে একটী ছোট খাট কুর্ণীস করিয়া সহাস্যমুখে বলিল, — “আমারও সে দিনের ঘটনাটার জন্য মনে বড়ই একটা অনুতাপ জন্মিয়াছে। এ অধিনীকে স্মরণ করিয়াছেন কেন বেগম?”
আনারউন্নিসা বাহারের সম্মুখস্থ একখানি আসন অধিকার করিয়া বসিয়াছিল। বাহারের মুখভাব উত্তমরূপে লক্ষ্য করাই, বোধ হয় তাহার মনের গূঢ় উদ্যেশ্য।
আনার উন্নিসা আর ভূমিকা না করিয়া বলিল,—“তোমাকে