তখন স্বামী ত আমার একজন চাই। আপনার মত আমীর লোক যদি আমাকে পত্নী-বলিয়া দয়া করিয়া গ্রহণ করেন,—সেটা আমার সৌভাগ্য বই আর কিছুই নয়।”
মীর লতিফ এই কথাটা শুনিয়া খুবই দমিয়া পড়িল। শুষ্ক মুখে, কম্পিত হৃদয়ে বলিল,—“সত্যই তাই লিখিয়াছ নাকি? বল কি—আনার উন্নিসা?”
আনার, তাহার মুখখানা একটু গম্ভীর করিয়া বলিল,—“সত্য নয় তো কি মিথ্যা বলিতেছি। এ সব সাংঘাতিক ব্যাপারে কি রহ্স্য চলে লতিফ?”
মীর লতিফ ম্লানমুখে একটী মর্ম্মভেদী দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলিয়া বলিল,—“একবারও আমার মুখের দিকে চাহিলে না আনার উন্নিস! আমার যে সব গেল! ইহজীবনের আশা, উৎসাহ, অস্তিত্ব, সবই যে তুমি আমার!
লতিফ আর বলিতে পারিল না। মর্ম্মবেদনায় তাহার কণ্ঠস্বর ভারি হইল। প্রাণের ভিতর তাহার যে একটা যাতনা হইতেছিল,—তাহা অশ্রুধারা রূপে তাহার চোখে ফুটিয়া উঠিল।
আনার, মীর লতিফের এ অবস্থা সহ্য করিতে পারিল না। সে এতক্ষণ লতিফের সহিত একটু রহস্য করিতেছিল মাত্র। কিন্তু সে বুঝিতে পারে নাই, যে এই ব্যাপারে লতিফের চোখ দিয়া জল বাহির হইবে।
আনার তাহার ওড়নার এক প্রান্ত দিয়া লতিফের চোখের জল মুছাইয়া দিয়া বলিল,—“তোমার সহিত একটু রহস্য
২৪