পাতা:দেশবন্ধু-কথা - জিতেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

loyo মৃত্যুর পর অনেকেই তঁাহার স্মৃতির উদ্দেশে শ্রদ্ধার অর্ঘ্য অর্পণ করিয়াছিলেন । বৰ্ত্তমান গ্ৰন্থকার সেই বিরাট আৰ্য্য-স্তুপের মধ্য হইতে কয়েকটি পুষ্প আহরণ করিয়া একটি সাজি তৈয়ার করিয়াছেন । আমার বিশ্বাস তাহার শ্রম সফল হইয়াছে । এই সঙ্কলন পুস্তকখানি বড়ষ্ট উপাদেয় ও চিত্তাকর্ষক হইয়াছে। গণের মধ্যে ইহার সম্যক আদর হইতে দেখিলে আমি অত্যন্ত সুখী হুইব । গ্ৰন্থকারের অনুরোধে আমি বিশেষ আগ্রহের সহিত এই ক্ষুদ্র ভূমিকা লিখিয়া দিলাম। যিনি প্ৰকৃত বড়লোক, কেবল গুণগান করিলে তাহার সম্মান করা হয় না। চারিদিক হঠাতে সমগ্রভাবে তাহাকে বুঝিতে চেষ্টা করিলেই তাঁহার যথার্থ শ্রদ্ধ করা হয়। দেশবন্ধুকেও এইরূপ ভাবে বুঝিতে চেন্টা করিতে হইবে, তাহার মানবত্ব ও মহত্ত্বের স্বরূপ উপলব্ধি করিতে হইবে, তবেই তাহার প্রতি দেশবাসীর যে বিপুল শ্রদ্ধা তাহা সম্যক বিকাশ লাভ করিবে । ১৯১৬ সাল হইতে ১৯২১ সাল পৰ্য্যন্ত রাজনৈতিক জীবনে আমি দেশবন্ধুর সহকৰ্ম্মী ছিলাম, অত্যন্ত নিকট হইতে র্তাহাকে দেখিবার সুযোগ পাইয়াছিলাম ; আমাদের কয়েক জনের ঐকান্তিক আগ্রহে ও চেষ্টায় বোধ হয় তিনি প্ৰথমে ঘনিষ্ঠ ভাবে রাজনীতি-ক্ষেত্রে মিশিতে আরম্ভ করেন । তাই এই কয়েক বৎসরের আলাপে তাহার চরিত্রের যে বিশেষত্ব দেখিয়াছিলাম তাহার দুই একটি কথা এখানে বলিব ।