পাতা:ধর্ম্মজীবন (তৃতীয় খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Oe ধৰ্ম্ম-জীবন ! নীতিকে ধৰ্ম্ম হইতে স্বতন্ত্র করা সম্ভব নাহে ; কিন্তু যাহা অৰ্দ্ধেক তাহাকে সম্পূর্ণ বলিলে যে ভ্ৰম হয়, কেবল মাত্র নীতিকে ধৰ্ম্ম বলিলে সেই ভ্ৰম হইয়া থাকে। বৌদ্ধধৰ্ম্মের ন্যায় নৈতিক ধৰ্ম্ম সেই ভ্ৰমেই পতিত হইয়াছেন । অন্ধের হস্তীদর্শনের ন্যায়। এই সকল ধৰ্ম্মের ভ্ৰমাংশ বর্জন করিয়া সত্যাংশ যোড়া দিলে, পূর্ণাঙ্গ ধৰ্ম্মভাব পাওয়া যাইতে পারে। কিন্তু একথা বলিবার সঙ্গে সঙ্গে ইহাও বলা আবশ্যক -এরূপ প্ৰণালীতে কেহ কখনও ধৰ্ম্ম লাভ করে নাই। প্রকৃত জীবন্ত ধৰ্ম্মের পথ ইহাও নহে। যেমন আলু, পটল প্ৰভৃতি তারকারীর খোসা ছাড়াইয়া, পরিষ্কার করিয়া ধুইয়া মশলা ও লবণ মাখাইয়া, একত্র রাখিলেই তাহাকে ব্যঞ্জন বলে না ; এ সকল ব্যঞ্জনরূপে পরিণত হইতে আরও কিছু চাই, অগ্নির ক্রিয়া চাই; তেমনি প্রাচীন ও বর্তমানের সমুদয় ভাল কথা ও ভাল বিষয় বাছিয়া একত্র রাখিলেই তাহ ধৰ্ম্ম হয় না । আরও কিছু চাই,-অগ্নির ক্রিয় চাই। ঈশ্বরের প্ৰেমানল যখন হৃদয়ে জ্বলে, জ্বলিয়া তাহাকে নব জীবন-প্ৰদান করে, যখন প্রেমোজুল হৃদয়ে পূর্বোক্ত সত্য সকল প্ৰতিভাত হয়; তখনি তাহা পরিপাক হইয়া ধৰ্ম্মজীবনের আকার ধারণা করিতে পারে। বরং এই কথাই বলা উচিত, প্ৰকৃত ভগবৎ প্ৰেম একবার হৃদয়ে জম্মিলে পূর্বোক্ত সত্য সকল স্বতঃই সে হৃদয়ে প্ৰতিভাত হয়। জীবন্ত প্ৰেমই ধৰ্ম্মের উৎস। ph