পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বর্যান্বেষণ । বলিলে সকল কথা বলা হয় না। কারণ নিতান্ত স্বাৰ্থ-বুদ্ধিপ্ৰণোদিত ব্যক্তি ও ইষ্ট-দেবতার প্রতি নির্ভর করিতে পারে । এরূপ কথিত আছে, ডাকাতের ডাকাতি করিতে যাইবার পূর্বে কালী পূজা করে ; কারণ তাহারা আশা করে যে, কালীর সাহায্যে স্বাৰ্থ সাধন করিতে সমর্থ হইবে ; কালীর সাহায্যের প্রতি তাহদের নির্ভর থাকে। এই নির্ভরের মূলে কি ভাব ? তাহার তদন্দ্বারা কি কালীকে অন্বেষণ করে ? অথবা আপনাদিগকেই অন্বেষণ করে ? সকলেই বলিবেন।--তাহারা আপনাদিগকেই প্ৰধানতঃ অন্বেষণ করে ; সার্থ-সাধনই তাহদের উদ্দেশ্য, কালী তাহার সহায় ও উপায় মাত্ৰ । তেমনি মানুষ অনেক স্থলে যে ঈশ্বরের উপর নির্ভর করে, তাহার মূলে এই ভাব প্রচ্ছন্ন থাকে-হে ঈশ্বর আমার ইচ্ছা পূৰ্ণ হোক, তোমার দ্বারা । ইহা ত ঈশ্বরান্বেষণ নহে, ইহা নিজেরই অন্বেষণ । প্ৰকৃত ঈশ্বরান্বেষী ব্যক্তির প্রার্থনা এই— “তোমার ইচ্ছা পূৰ্ণ হোক আমার দ্বার।” ঈশ্বরান্বেষণের মূলে আত্ম-বিস্মৃতি ; যেখানে আত্ম-বিস্মৃতি নাই, সেখানে ঈশ্বরান্বেষণ ও নাই। এই আত্ম-বিস্মৃতি হইতেই অকৃত্ৰিম বৈরাগ্যের উদয় হয় । একটী বালকের একটী পায়রা উড়িয়া যাইতেছে, সে সেই পায়রাটীর প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া নিমগ্নচিত্তে দৌড়িতেছে, ও দিকে তাহার স্কন্ধের চাদর কাদায় লুটাইতেছে, সে তাহা জানিতেও পারিতেছে না, পথের লোক চীৎকার কারিয়া বলিতেছে, “ওরে তোর চাদর গেল।” তেমনি যে সাধু একাগ্ৰ