পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মজীবন । চিত্তে, ঈশ্বরান্বেষণ করেন, তাহার স্বার্থের বসন খসিয়া যায়, তিনি তাহ জানিতেও পারেন না, জগতের লোক হয় ত বলাবলি করে, “দেখ দেখা লোকটার স্বাৰ্থ একেবারে খসিয়া গেল ?” ইহাকেই বলে আত্ম-বিস্মৃতি-জনিত প্রকৃত বৈরাগ্য । অতএব প্রকৃত ঈশ্বরান্বেষণের প্রথম ও মূলগত ভােব আত্নবিস্মৃতি ; ) যেখানে আত্ন-বিস্মৃতি সেই খানেই অভিসন্ধির বিশুদ্ধতা ! যিনি প্ৰকৃত ঈশ্বর্যান্বেষী তাহার ঈশ্বরাহেরমণ ভিন্ন অন্য অভিসন্ধি নাই । মে মনে অভিসন্ধি নাই,তাহাই নিৰ্ম্মল মন । এরূপ নিৰ্ম্মল মনেই ঈশ্বরের মুখজ্যোতি প্ৰকাশ পাইয়া থাকে । এ বিষয়ে সৰ্ব্বদেশের ও সৰ্ব্বকালের সাধুগণের একবাক্যত। দেখিতে পা ওয়া যায় । উপনিষদ বলেন -“জ্ঞান-প্ৰসাদেন বিশুদ্ধ সস্তস্ততস্তু তং পশ্যতে নিস্কলং ধ্যাযমানঃ * অ ৰ্থাৎ তত্ত্বজ্ঞান দ্বার যাহার অন্ত:করণের বৃত্তি পৰ্যন্ত বিশুদ্ধ হইয়াছে, এরূপ ব্যক্তি ধানপরায়ণ হইলে, সেই নিষ্কল পুরুষকে দেখিতে পান। বাই(of 272 Wict-“Blessed are the pure in heart for they shull sce (God” zosta II (TRİCK ZWEI of তাহারাই ধন্য ; কারণ তাহারা ঈশ্বরের দর্শন পাইবেন । ইহা একই উপদেশ । নিৰ্ম্মল মন না হইলে ঈশ্বরের সন্দর্শন লাভ করা যায় না ; কিন্তু নিৰ্ম্মল মন লাভ করার ন্যায় কঠিন সাধন ও আর নাই ! আমরা নিরস্তর অনুভব করিতেছি যে দিবানিশি সজাগ ধাকিয়া ও অনেক সময়ে আপনাদের হৃদয়কে ক্ষুদ্র অভিসন্ধি হইতে রক্ষা করিতে পারিন । এমন কি ক্ষুদ্র অভিসন্ধি