পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছিদ্যন্তে সর্বসংশয়াঃ । S o t ত্রুটি থাকা সম্ভব যে আমরা তাহ সংশোধন করিবার জন্য অনুরোধ করিব ? ঈশ্বরের সকল কাৰ্য্যই নিয়ম। দীন ; তিনি কি আমাদের অনুরোধে তাহার কোন ও নিয়মের ব্যাঘাত করিবেন ? তবে প্রার্থনা করাতে ফল কি ? এইরূপ কত প্ৰশ্ন তাহাদের হৃদয়কে আকুল করিয়াছে। এই সন্দেহ দূর করিাবার জন্য ঘাত তর্ক যুক্তি উপস্থিত করা গিয়াছে, কিছুতেই তাহদের সংশয় ভঞ্জন হয় নাই, মনে দৃঢ় প্রতীতি জন্মে নাই । কিন্তু অবশেষে যখন তাহার। ঈশ্বরোপাসনাতে প্ৰবৃত্ত হইয়াছেন, ঈশ্বরের শ্রবণ মননে মনোনিবেশ করিয়াছেন, তাহার সত্যত। উজ্জ্বল রূপে প্ৰতীতি করিয়াছেন, তখন দেখা গিয়াছে যে প্ৰাৰ্থনার ভাব স্বতঃই তাহদের অন্তরে ফুটিয়। উঠিয়াছে। তখন প্রার্থনাকে আত্মার পক্ষে অতি স্বাভাবিক কার্স্য বলিয়া মনে হইয়াছে । তৃতীয় সংশয় ঈশ্বরের বিধাতৃত্ব বিষয়ে । ঈশ্বর বিধাতা! ইহা আমরা সকলেই স্বীকার করি, তিনি যে কেবল কাৰ্য্যকারণশৃঙ্খন্ডোর অপর পাশেৰ্থ থাকিয়া জগতকে শাসন করিতেছেন তাহা নহে ; কিন্তু সাক্ষাং ও প্ৰত্যক্ষভাবে প্ৰতি জীবনে সন্নিহিত রহিয়াছেন, এবং প্ৰতি জীবনের ঘটনাবলীকে নিয়মিত করিতেছেন । তর্কের দ্বারা কি কাহার ও নিকটে এ কথা প্ৰতিপন্ন করা যায় ? মানুষ দেখিতেছে যে সে নিজে এই জগতে কাৰ্য্য করিতেছে, সে নিজ কাৰ্য্যের ফলাফল ভোগ করিতেছে, সে শ্রম করিতেছে অর্থোপাৰ্জন করিতেছে, স্ত্রী পুত্ৰ পালন