পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ο \, ο ধৰ্ম্মজীবন করিতেছি, তোমার যাহা করিবার আছে কর, তুমি অবিশ্রান্ত চেন্টা ও সংগ্ৰাম কর, তুমি জ্ঞানে গভীরতা, প্রেমে বিশালতা, চরিত্রে সংযম, কৰ্ত্তব্য-সাধনে দৃঢ়তা লাভ কর, ও সর্বভুতের কল্যাণ সাধন করিবার চেন্টা কর, আমি তোমার সঙ্গেই আছি । যে পরিমাণে আত্ম-প্রভাব সেই পরিমাণে ভগবৎকৃপা । যে পরিমাণে বৃক্ষ পৃথিবীর রস আকর্ষণ করে সেই পরিমাণে বায়ু ও উত্তাপকে গ্ৰহণ করিবার উপযুক্ত হয়। প্রার্থনার অর্থ যদি এই হয়, নিজের শ্রমের ভার ঈশ্বরকে দেওয়া, বিনা আয়াসে সপ্তম সর্গে যাওয়া, তবে সে প্রার্থনা পূর্ণ হয় না ; আর প্রার্থনার অর্থ যদি এই হয়, নিজের প্রকৃতিকে তাহার ইচ্ছাধীন করা, তবে তাহা পূৰ্ণ হয়। প্রার্থনার ও ত একটা দায়িত্ব অাছে। হে মানুষ, তুমি যখন ঈশ্বরকে বলিতেছ। “হে ঈশ্বর, আমাকে এই পঙ্কময় হ্রদ হইতে উদ্ধার কর” তখন তুমি ও কি আত্মশক্তি প্রয়োগ করিবে না, নিজে সন্তরণ করিয়া কুলের দিকে যতটুকু অগ্রসর হইতে পাের, তাহা করিবে না ? আদুরে ছেলে যেমন চৌকিখানির উপরে বসিয়া কঁাদে, মা! আমাকে নামাইয়া দে ও নিজে প। খানি বাড়ায় না, তুমি ও কি তাহাই করিবে ? এরূপ অলসের প্রার্থনা ঈশ্বর কখনও পূর্ণ করেন না। মহাত্ম। বুদ্ধ যেমন প্ৰতিজ্ঞা করিয়া বোধিদ্রুমের তলে বসিয়াছিলেন, এই আমি বসিলাম, আলোক না পাইলে উঠিব না ; আমার অঙ্গের সন্ধি সকল শিথিল হউক ; মাংসপেশী সকল শীর্ণ হউক ; আমার দেহকে কাটে ক্ষত বিক্ষত করুক ; আমাকে আলোক পাইতেই