পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(府- S - 1 S CNO বিকশিত করিয়া, যতই তাহার স্বরূপের অভিমুখে অগ্রসর হই, ততই তাহাকে গ্ৰহণ করি ও তাহার প্রেরণার বশবত্তী হই । কি প্রকারে আমরা আমাদের প্রকৃতিকে উন্নত করিতে পারি । প্ৰথম, জগৎ তত্ত্ব ও আত্ম-তত্ত্ব বিষয়ে জ্ঞানলাভ করা ; দ্বিতীয় আত্মার স্বরূপ বিশুদ্ধ ও একাগ্র করা ; তৃতীয়, স্বীয় স্বীয় কৰ্ত্তব্য সাধন দ্বারা আপনাকে তাহার আদেশের অনুগত করা ; চতুর্থ সৰ্ব্বভূতের প্রতি মৈত্রীর দ্বারা চালিত হইয়া সৰ্ব্বভূতের কল্যাণ সাধন করা । এই সকল সাধনা-পথে আমরা যত অগ্রসর হই, ততই তাঁহাকে জানিবার ও লাভ করিবার উপযুক্ত হই। প্ৰকৃত ভক্তিপথাবলম্বীরা বলেন, একদিকে দেব-প্ৰসাদ অপরদিকে আত্ম-প্রভাব, একটা অপরটার বিরোধী এরূপ নহে, কিন্তু একটা অপরটার সহকারী মানবের মুক্তি-সাধনে উভয়ে মিলিয়া কাৰ্য্য করে । যে ভাবে ঋষির বলিয়াছেন “ সহ ব্ৰহ্মণ বিপশ্চিত।” সাধক ব্রহ্মের সহিত মিলিত হইয়। কামনার বিষয় সকল ভোগ করেন, ইহার মধ্যে সেই ভাব । মানব স্বীয় মুক্তি সাধনে ঈশ্বরের সহচর অনুচর মাত্র । তিনি মানবাত্মাকে স্বতন্ত্রতা দিয়া মানবের জন্য এই বিধি স্থাপন করিয়াছেন। তিনি ত মানবকে মুক্তির দিকে প্রেরণ করিতেছেন, মানবেরও কিছু করা চাই, তাহার ইচ্ছার অনুগত হওয়া চাই । তিনি মানবকে নিজের সহকারী করিয়া লইতে চান, অথবা নিজে মানবের সহকারী ও সুহৃৎ হইতে চান, এই তার বিচিত্ৰ লীলা । তিনি মানবকে যেন সৰ্ব্বদা বলিতেছেন, আমরা যাহা করিবার তাহ।