পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> tr o ধৰ্ম্মজীবন ৷ প্ৰবৃত্তির হাতে আপনাকে দেওয়া বড় সৰ্ব্বনাশের কথা ! পাপকে হৃদয়ে স্থান দেওয়া আর আপনার প্রাঙ্গণে কণ্টক-তরুর বীজ বপন করা সমান । নিজেরই যাতনার কারণ সঞ্চয় করিয়া রাখা । যে পূর্বোক্ত ধনী-সন্তানের ন্যায় প্রবৃত্তির হাতে আপনাকে দিয়াছে, সে যে দিন বলে,-“আর আমি প্ৰবৃত্তির দাসত্ব করিব না, ধৰ্ম্ম যিনি সেতুস্বরূপ হইয়া সংসারকে ধারণ করিতেছেন, যিনি আনাতে রহিয়াছেন, আমি এত দিন বুঝি নাই, আমি সেই ধৰ্ম্মের হাতে আপনাকে দিব,” সে দিন কি তার নব জন্মের দিন নয় ? সে দিন সে এক নূতন জগতে প্রবেশ করে ; সেখানকার সকলি নুতন। প্রথম, সেখানকার জ্ঞান নূতন। যতদিন ধৰ্ম্ম-দৃষ্টি খোলে নাই, ততদিন মানুষ যে সকল বিষয়কে সার বলিয়। জ্ঞান করিতেছিল, এখন দেখিল, সে সমুদায় অসার হইয়া গেল, এবং যাহাকে সে পুর্বে অসার ভাবিতেছিল, তাহাই সার হইল। সে এতদিন ভাবিতেছিল। কেবল জড়রাজ্যেই সুদৃঢ় নিয়ম সকল প্রতিষ্ঠিত আছে ; এখন দেখিল আত্মার রাজ্যে ও এক সৰ্ব্ববিজয়িনী শক্তি পাপকে শাস্তি দিয়া পুণ্যকে প্রতিষ্ঠিত রাখিতেছে। আগে ভাবিত জগতে চারিদিকে অন্ধশক্তির ক্রীড়া, সে তন্মধ্যে দণ্ডায়মান আছে, আত্মরক্ষা করাই তাহার প্রধান কাজ, স্বপোষণই তার প্রধান ধৰ্ম্ম, এখন দেখিল যিনি জড়ে তিনিই চেতনে, তাহার সত্তার মহাপ্লাবনে জগত নিমগ্ন, সাগর তরঙ্গোপরি একগাছি তৃণ যেমন ভাসে, তেমনি সেই সত্তা