পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t西否丐目 o S দুৰ্গতি, যে, তাহাতে ও সন্তুষ্ট না হইয়া মানুষ আবার নূতন নূতন দুঃখ উৎপন্ন করে ! কাষ্ঠ যোগাইয়া, বাতাস দিয়া, দুঃখানল জ্বালিয়া তোলে ! প্ৰবৃত্তির বশবৰ্ত্তী হইয়া যন্ত্ৰণানলে দগ্ধ হয়। অপরকে ও দ গদ করে ! ঋষির বলিয়ছেন ঃ “ন জাতু কামঃ কামানামুপভোগেন শামতি । হুবিষ। কৃষ্ণ বত্বে ভুয় এবাভিলাৰ্দ্ধতে ৷ ” অ হাঁ— কামনার বিষয় পাইয়া কামনা কখনই নিবৃত্ত হয় না ; বরং সুতাহুতি প্ৰাপ্ত হইলে অগ্নি যেরূপ বদ্ধিত হয়, সেইরূপ বদ্ধিত হইয়া! থাকে” । প্ৰবৃত্তিরূপ অনলের কাঠ আমরা নিজেই; —আমাদের শরীর মনকে পোড়াইয়া ইহা ধু ধু করিয়া জুলিতেছে । চারিদিকে চাহিয়া দেখ, সংসারে কত দুঃখ কত হাহাকার, কত আৰ্ত্তনাদ, কত বৈর, কত বিদ্বেষ, কত অত্যাচার, ক’ত মনস্তাপ ! একজন বিশটা কি পচিশটা টাকা বেতন পাদু, সলেদা সতর্ক থাকিলে ও তাহাতে সংসার চলে না ; কিন্তু এই দারিদ্র্য তােহর পক্ষে যথেষ্ট নহে, সে আবার সুরাপান করিতে ও তৎসহায় অপরাপর পাপের অনুষ্ঠান করিতে শিখিয়াছে ; গিয়া দেখ, সে মত্ত হইয়া আপনার পত্নীকে মারিয়া অৰ্দ্ধ-মৃত করিতেছে ; সন্তানগুলিকে অন্ন-বস্ত্ৰহীন করিয়া পথে ছাড়িয়া দিতেছে ; প্ৰতিবেশিগণের সহিত নিরস্তায় কলহে দিন – (বসান করিতেছে । ইহা দেখিলে কার বন চক্ষে জল পড়ে ? কে না বলে হায় রে ! জীব ! প্ৰবৃত্তির স্থাতে আপনাকে দিয়া তোর কি দুৰ্দশ !