পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sሆ8 ধৰ্ম্মজীবন । ইচ্ছা করে, যে এক লম্ফে সপ্তম স্বর্গে উঠিয়া যায়, সকল দুর্বলতা হুইতে নিস্কৃতি পাইয়া সাধুশ্রেষ্ঠ হয়। কিন্তু ঈশ্বর এমন প্রার্থনা পূৰ্ণ করেন না। তিনি বলেন, আসক্তির সাপকে বহু দিন ধরিয়া আপনার দেহে জড়াইতে দিয়াছ, এখন বসিয়া বসিয়া কঁাদ আর টুকরা টুকরা করিয়া কাট। ঈশ্বর বোধ হয় এই জন্যই ঐ প্রকার বিধি করিয়াছেন যে, তাহা হইলে পাপের প্ৰতি ঘুণ দশগুণ বদ্ধিত হইবে ; আমরা চক্ষের জলে ভাসিয়া বলিব “বাপারে পাপের পাশ কি সৰ্ব্ব নোশে জিনিস যে একবার গলায় পরিলে, অনেক যাতনা পাইয়া খুলিতে হয়।” একবার একজন কাফ্রী ক্রীতদাস স্বীয় প্রভুর সহিত ইংলণ্ডে আসিয়াছিল ; ইংলেণ্ডে আসিয়া সে গুরুতর পড়াতে আক্রান্ত হয় ; তাহার প্রভু মনে করেন যে, সে আর বঁাচিবে না, তাই লোকে যেমন পীড়িত পশুকে পথে পড়িয়া মরিবার জন্য তাড়াইয়া দেয়, তেমনি তাহার নির্দয় প্ৰভু তাহাকে রাজপথে তাড়াইয়া দিলেন । এই অবস্থাতে সে সুবিখ্যাত গ্রানভিল শাপের চক্ষে পড়ে । তিনি তাহাকে একটা হাসপাতালে রাখিয়া দেন। সেখানে আরোগ্যলাভ করিলে, তাহাকে অন্য এক স্থানে চাকুরীতে নিযুক্ত করিয়া দেন । কিছুদিন চাকুরী করিয়া সে কিঞ্চিৎ অর্থ সঞ্চয় করে ও তদারা একটী সামান্য দোকান করিয়া অর্থে পাৰ্জন করিতে আরম্ভ করে । যখন দুই চারি বৎসর চলিয়া গিয়াছে, সে নিশ্চিন্ত হইয়া পুৰ্ব্ব জীবনের সহিত বর্তমান জীবনের তুলনা করিতেছে, এমন সময়ে