পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মজীবনের উপাদান । আমরা বর্তমান সময়ে প্রচলিত হিন্দুধৰ্ম্ম ও বৌদ্ধধৰ্ম্মের এই অবস্থা দেখিতেছি। পূৰ্ব্বোক্ত ধৰ্ম্মন্বয় অগ্ৰে যাহাই থাকুক। এক্ষণে কেবল বাহ্য নিয়ম পালনে দাড়াইয়াছে । তোমার মত ওভােব যেরূপই হউক না কেন, তুদি বাহিরের নিয়মগুলি পালন করিলেই তাহদের মধ্যে স্থান প্ৰাপ্ত হইবে । অগ্ৰে ধৰ্ম্মজীবনের যে তিন প্রকার উপাদানের উল্লেখ করা গেল, ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম ইহার কোন ওটাকেই অবহেলা করেন না । এই তিনটাই ধৰ্ম্মজীবনের উপাদান, এবং ধৰ্ম্মজীবন গঠনে তিনটারই প্ৰয়োজনীয়তা আছে, তাহাতে সন্দেহ নাই। কিন্তু ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম এই তিনটীকে প্রধান উপাদান বলিয়া ও সন্তুষ্ট নহেন ; আর ও কতকগুলি উপাদান আছে, যাহা প্ৰধান না হইলেও এগুলির পরিপোষক ও সহায় । সেগুলির অভাবে এগুলি সুন্দর, সুদৃঢ় ও সম্পূর্ণরূপ কাৰ্য্যকারী হয় না । সেগুলিকে নদীতীরবত্তী প্রাচীরের পাদরক্ষক ভিত্তির সহিত তুলনা করা যাইতে পারে। এই পাদরক্ষক ভিত্তিকে এতদ্দেশে পোস্তগাথা বলে । ইহা অনেকেরই বিদিত আছে, যে নদীতীরে প্রাচীরদি নিৰ্ম্মাণ করিতে হইলে অনেক দূর হইতে পোস্ত গাঁথিয়া তুলিতে হয়। ইস্থা অনেকে দেখিয়া থাকিবেন, পোস্ত যেমন প্রাচীর নহে, কিন্তু প্রাচীরের দৃঢ়তা বিধান ও রক্ষার পক্ষে অত্যাবশ্যক, তেমনি এই উপাদানগুলি মুখ্য না হইলেও ধৰ্ম্মজীবনের দৃঢ়তা ও সৌন্দৰ্য্যের জন্য অত্যাবশ্যক। সেগুলিকে আর একপ্রকার পদার্থের সহিত তুলনা করা যাইতে পারে। আমরা সৰ্ব্বদা