পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Roy एीखगैदम । • ঠাকুর বাম হস্তে সেই শিশুর হাত ধরিয়া দক্ষিণ হস্তে দুধের বাটী তুলিয়া মুখে দিলেন। আমরা সকলেই জানি এ সকল আখ্যায়িক অমূলক ও মনঃকল্পিত, কিন্তু আখ্যায়িকাকারের উদ্দেশ্য যাহা তাহ অনুভব করিতে পারা যাইতেছে। পবিত্ৰচিত্ত তাতে শিশু হইতে হইবে, ও প্ৰাণান্তিক জেদ করিয়া ভগবানকে ধরিতে হইবে। এই দুইটার একত্ৰ সমাবেশ হইলেই বোধ হয়, ভগবৎকৃপা ত্যাবতীর্ণ হয়, ঈশ্বর সে হৃদয়ে ধৰ্ম্মতত্ত্ব অভিব্যক্তি করিতে থাকেন । এইরূপে সময়ে সময়ে সাধুহীদযে যে সকল পারমার্থিক তত্ত্ব প্ৰকটিত হইয়াছে, তাহাই বংশপরম্পরাক্রমে সংগৃহীত হইয়া প্ৰস্থাকারে নিবদ্ধ হইতেছে ; এক একখানি শাস্ত্ৰ এক একটা জাতির রত্নাগার স্বরূপ । যিনি যে কিছু রত্ন কুড়াইয়া পাইয়াছেন, তিনি তাহা ঐ রত্নাগারে রাখিয়া গিয়াছেন । এইখানেই আবার মানুষের এক মহ। বিশেষত্ত্ব দেখা যাইতেছে, যাহা অপর প্রাণীতে দেখা যায় না, এবং পশুপ্ৰায় বর্বর মানবে ও দেখা যায় না। সেটা এই, পুর্বপুরুষ-প্রাপ্ত জ্ঞান সম্পত্তির সংরক্ষণ ও বৰ্দ্ধন । ইহার গুণেই মানব-সমাজের সভ্যতা সম্ভব হইয়াছে। কখনও শুনি নাই যে, বৰ্ত্তমান বংশীয় ব্যান্ত্রের পূর্ববৰ্ত্তী পিতৃপুরুষ ব্যাস্ত্রদিগের আদেশ ও উপদেশ স্মরণ করিয়া স্বীয় স্বীয় কর্তব্য পথ নিৰ্দ্ধারণ করিতেছে ; ইহা কেবল মানুষেই সস্তুব। ' . . . প্রাচীনের প্রতি এই নিষ্ঠার উপরেই শাস্ত্রের ভিত্তি স্থাপিত