পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R\Sy ধৰ্ম্মজীবন । ভাবিক পারমার্থিকতা । মানব অনন্তের সহিত জড়িত বলিয়াই মানব-মনের সর্বদা অনন্তমুখীন গতি । মানব-প্রকৃতি এই জগতের দিকেই সীমাবদ্ধ, কিন্তু আধ্যাত্মিক ভাব সকলের দিকে সেই অনন্তপুরুষের সহিত অসীমভাবে মিশ্রিত। মানবাত্মা ; দৈহিক ভাবে যাহা চাহিতেছে, তাহা দেশকালের সীমাধীন কিন্তু আধ্যাত্মিকভাবে যে যাহা চাহিতেছে তাহার সীমা-নির্দেশ সম্ভব নাহে ৷ মানবাত্মা জ্ঞান চায়-সে। জ্ঞানের অন্ত কোথায় ? প্ৰেম চায়, সে প্রেমের অস্ত কোথায় ? পবিত্রত চায়-তাহারই বা অস্ত কোথায় ? এইরূপে চিন্তা করিয়া দেখ, সেই পরমপুরুষই আমাদের আকাঙক্ষার বস্তু। কারণ জ্ঞান, প্ৰেম, পবিত্রতা তাহারই স্বরূপ, আমরা তাহাই চাহিতেছি । তাই বলি, পারমার্থিকতা মানবের প্রকৃতিগত স্বাভাবিক ধৰ্ম্ম । একই মানব-প্ৰকৃতি দেশভেদে ও অবস্থাভেদে আপনাকে বিভিন্ন আকারে প্রকাশ করিয়া থাকে । দম্পত্য-প্ৰেম সভ্য জাতি সকলের মধ্যে যে আকারে বাস করে, অসভ্যাদিগের মধ্যে সে প্ৰণালীতে হয় তা আপনাকে প্ৰকাশ করে না । মাতৃস্নেহের প্রকাশ সভ্য রমণীদিগের মধ্যে যেরূপ, অসভ্যাদিগের মধ্যে সেরূপ না হইতে পারে । মানবের অজ্ঞানাবস্থাতে প্ৰকৃতির এক প্ৰকার কার্স্যোর উপরে এত প্রকার আবরণ পড়িতে পারে, যাহা উন্মোচন করিতে সমাজ-সংস্কারকের প্রয়োজন হয়। পারমার্থিকতা বিষয়েও সেইরূপ । জনসমাজের অজ্ঞতার অবস্থাতে মানবের স্বভাবনিহিত পারমার্থিকতা