পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানবের প্রকৃতিগত পারমার্থিকতা । R99 তাহার কারণ মানবের প্রকৃতিগত পারমার্থিকতা । সেই ধৰ্ম্মাবহ পুরুষ আমাদের অন্তরে বাস করিতেছেন, তিনি আপনার জিনিস আপনি চিনিয়া লন, এই জন্যই আমাদের মন স্বভাবতঃ সাধুদের চরণে অবনত হইয়া পড়ে । মানুষ দেশ কালের সীমার মধ্যে সর্বদাই বাস করিতেছে, ইন্দ্ৰিয়গ্ৰাহা বিষয় সকলের দ্বারা বেষ্টিত রহিয়াছে, ক্ষুধা তৃষ্ণার তাড়নায় সৰ্ব্বদাই দৈহিক ভোগ সামগ্ৰী সকলকে অন্বেষণ করিতে বাধ্য হইতেছে, মানবের চিত্ত বহির্বিষয়ে কতটা ব্যাপৃত। অথচ মানব-প্রকৃতির মধ্যে কি এক প্রকার আশ্চর্যাশক্তি রহিয়াছে, যাহার প্রভাবে মানুষ ইন্দ্ৰিয়াতীত বিষয় সকলকে এতই প্ৰীতি করিতেছে, যে জন্য, সুখ স্বাৰ্থ ধন, মান বিসর্জন করাকে ক্ষতি বলিয়া মনে করিতেছে না। যীশু) হৃদয়গত যে ভাব বা আদর্শকে স্বাগ-রাজ্য বলিয়া নির্দেশ করিতেন, তাহার ন্যায় দেশ কালাতীত ও ইন্দ্ৰিয়াতীত বস্তু আর কি হইতে পারে ? তাহা একটা মনঃকল্পিত চিত্ৰ মাত্ৰ ; অথচ তাহার প্রতি তাহার চিত্তের এমনি অভিনিবেশ হইয়াছিল। যে, সে জন্য শক্রিহস্তে নিধন প্ৰাপ্ত হওয়াকেও দুঃখকর মনে করেন নাই। মহাত্মা বুদ্ধ তাহার হৃদয়-নিহিত আদর্শকে এতই প্রীতি করিয়াছিলেন যে, রাজবিভব পরিত্যাগ করাকেও ত্যাগ বলিয়া মনে করেন নাই। ইন্দ্ৰিয়-গ্ৰাহ বিষয় সকলে আবদ্ধ মানব-মনের যে এই ইন্দ্ৰিয়াতীত বিষয়ে রতি,-ইহা মানব প্রকৃতির একটা গুঢ় রহস্য । ইহার মুলে মানব-প্রকৃতির