পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্ম মানব-জীবনের শক্তি । Rbro যেমন গৃহের সন্নিহিত স্থানে যদি একটি পচা, পঙ্কিল পুষ্করিণী থাকে, যাহা হইতে প্ৰাতঃকালে কুজ্বটিক রাশি উখিত হয়, তাহা হইলে আকাশে সূৰ্য উদিত থাকিলেও সেই কুজ্জটিকারাশি তাহাকে দেখিতে দেয় না । তেমনি আমাদের কাম ক্ৰোধাদি রিপুসকল হইতে, এবং দুষিত কামনা হইতে, যে সকল মলিন ভাব উখিত হয়, তাহাই বাম্পের ন্যায় আমাদের অন্তশচক্ষুকে আবরণ করিয়া রাখে । ভগবদগীতাতে আছে ;- কাম এষ ক্ৰোধ এষ রজোগুণ-সমুদ্ভবঃ । মহানলে নহাপাপ মা বিদ্ধ্যেনমিহ বৈরিণং ॥ ধূমেনাব্ৰিয়তে বহ্রি র্যথাদর্শে মলেনাচ । যথোলেস্বনাবৃতো গৰ্ত্তস্তথা তেনেদমাবৃতং ॥ অর্থ-এই যে কাম, এই যে ক্ৰোধ, ইহার রজোগুণ হইতে উদ্ভূত, এই কাম বা ক্ৰোধ মহানল সমান, মহাপাপের আকার, ইহাকে বৈরী বলিয়া জান । ধূম যেরূপ অগ্নিকে আবরণ করিয়া থাকে, মল যেমন দর্পণকে আচ্ছন্ন করে, এবং জরায়ুযন্ত্র যেমন ভ্ৰাণীদেহকে আচ্ছাদন করিয়া থাকে, তেমনি কাম বা ক্ৰোধ জ্ঞানকে আবৃত করে । ইহা অতীর সত্য কথা । এই কারণেই আমরা পরমাত্মার সহিত বিশুদ্ধ যোগ স্থাপন করিতে পারি না । একবার সেই যোগ স্থাপন করিতে পারিলে, আমাদের আত্মা তাহার প্রেরণার অধীন হইতে থাকে । আমরা যখন তাহার দ্বারা অনুপ্ৰাণিত হই, তখন আমাদের জ্ঞান উজ্জ্বলতা প্ৰাপ্ত হইয়া às