পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ryba क्षन्डौदन। সে ত্ৰিভুবনকে জয় করিয়াছে।” অর্থাৎ আত্ম-সংযমে যে বীর, সে অপর হৃদয়কে স্বীয় বশে আনিতে ও সমর্থ। দশটা হৃদয়কে হাতে পাওয়া কত বড় একটা শক্তি ! একজন ধনী বার লক্ষ টাকা ব্যাঙ্কে রাখিয়া বসিয়া ভাবে আমি ধনী, আমার বার লক্ষ টাকা আছে, অথবা একজন রাজা নিজ হস্তে ষাটি হাজার সৈন্য রাখিয়া মনে মনে গৰ্ব্ব করেন, যে আমার ভাবনা কি, আমার হাতে ষাটি হাজার সৈন্য আছে ; কিন্তু সত্য সত্য বল, বার লক্ষ টাকা বা ষাটি হাজার সৈন্য অপেক্ষ। যীশুর বার জন অন্তরঙ্গ শিষ্য অধিক মূল্যবান ছিলেন কি না ? দেখ সেই বার জনের সাহায্যে যীশু। সমগ্র জগতের কত কোটী নির নারীকে জয় করিয়াছেন : রাজার ষাটি হাজার সৈন্যকে বেতন না দিলে থাকে না ; কিন্তু যীশু সেই বার জনকে কি বেতন দিতেন ? অনাহার, নিগ্ৰহ, তাড়না, এই সকল পাইয়াই তাহার কাজ করিতেন । বল দেখি কোন শক্তিতে তবে যীশু, তাহাদিগকে শাসনাধীনে রাখিয়াছিলেন ? তাহা কি ধৰ্ম্মের প্রদত্ত শক্তি নয় ? সেই শক্তিই তাহদের হৃদয়ে দশ গুণ হইয়া নব বলে উত্থিত হইয়াছিল । সর্বশেষে ধৰ্ম্ম আর এক কারণে মানবজীবনের শক্তিরূপে কাৰ্য্য করে। মানুষ পবিত্ৰচিত্ত হইলে তাহার এমনি একটী অবস্থা উপস্থিত হয়, যে তখন ঈশ্বরের সহিত যোগ নিবদ্ধ করা তাহার পক্ষে সহজ হয়। আমরা চিত্তকে কলুষিত রাখি বলিয়াই আমরা এই সাক্ষাৎ যোগে তাহাকে প্ৰাপ্ত হই না ।