পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মই মানব-জীবনের মুক্তি ROOI কি আর বলেন- দুইটী গ্যাস মিলিয়া জল হয়, কারণ অমুক বলিয়াছেন ? যাহার নিজের প্রত্যক্ষ জ্ঞান নাই, তাহাকে কাজেই অপরের দোহাই দিতে হয় । তেমনি জীবন্ত তাজা ধৰ্ম্ম, জীবন্ত তাজা ঈশ্বর-শ্ৰীতি যাহার হৃদয়ে নাই, তাহাকেই ভাবিতে হয় ধৰ্ম্ম বুঝি গ্রন্থে আছে, বা সাধুর মুখে আছে। গ্রন্থে ও সাধুর মুখে ধৰ্ম্ম আছে বটে, তাহাতে সন্দেহ নাই, কিন্তু কাহার জন্য আছে ? যাহার হৃদয়ে তাজা জীবন্ত ধৰ্ম্ম আছে, তাহার জন্যই আছে। যাহার অন্তরে সে জিনিষ নাই, তাহার জন্য ধৰ্ম্ম কোথাও নাই। তুমি প্ৰাণে ঈশ্বর আগে না পাইলে বাহিরে ঈশ্বর পাইবে না, এটা সৰ্ব্বদাই মনে রাখিতে হইবে। ঈশ্বর আগে প্ৰাণে লাগিবেন, তারপর ধাৰ্ম্মিক ধৰ্ম্মকে বাছিয়া লাইবেন, শাস্ত্ৰকে আদর করিবেন, সাধুকে বুকে ধরিবেন, ইহা অধ্যাত্মিক উন্নতির নিয়ম । ঈশ্বর হৃদয়ে যখন জাগিয়া উঠেন, তখনি ধৰ্ম্মজীবনের সঞ্চার হয় । শাস্ত্ৰ ও গুরুর বন্ধনের ন্যায়। আর একটা বন্ধন আছে, যাহা অনেক মানুষকে বাধিয়া রাখিয়াছে ; তাহা ক্রিয়ার বন্ধন । ধৰ্ম্মসাধনাৰ্থ বিবিধধৰ্ম্মে বিবিধ প্ৰকার ক্রিয়ার নির্দেশ আছে। অনেক লোকে মনে করে, ঐগুলির মধ্যে এমন কিছু শক্তি আছে, যাহাতে ধৰ্ম্মকে আনিয়া দিতে পারে। ব্যাধ যেমন জালে জড়াইয়া পাখীকে ধরে, তেমনি যেন ক্রিয়ার জালে জড়াইয়া ঈশ্বরকে ধরা যায়। প্ৰাণে জীবন্ত তাজা ধৰ্ম্ম, জাগ্ৰত ঈশ্বর-শ্ৰীতি না থাকিলেই মানুষ