পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&bro ধৰ্ম্মজীবন । মাত্ৰ করিবে ; তুমি দুর্বল’ তোমার পক্ষে এ সকল সস্তবত ঘটিবে ; কিন্তু তুমি নিরাশ হইও না, নির্ভর ছাড়িও না, অবিশ্বাসীদের দলে নাম লিখাইও না, তোমার পরিত্রাতা তোমার সঙ্গেই আছেন।” আহা, এই আশ্বাসের কথা কিরূপ সাস্তুনা-প্ৰদ ! ধন্য র্তাহারা যাহারা এরূপ বাণী স্বীয় হৃদয়ে সৰ্ব্বদাই শুনিতে পান, এবং শুনিয়া ঈশ্বরাদেশ শিরোধাৰ্য্য করিয়া পালন করেন ! ভয়ের বন্ধন খসিয়া গেলেই শাস্ত্র ও গুরুর বন্ধন খসিয়া যায় । শাস্ত্র ও গুরুর প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা না থাকিলে ধৰ্ম্মজীবন গড়ে না । শাস্ত্র ও গুরু ঈশ্বরের বিধানের অন্তৰ্গত, ইহা কখনই বিস্মৃত হওয়া উচিত নয়। কিন্তু তাহারা সহায় ও ধৰ্ম্মজীবনের পরিপোষক না হইয়া যখন ধৰ্ম্মজীবনের সংকীর্ণতার কারণ হন, তখনি বন্ধন-স্বরূপ হইয়া দাঁড়ান ; সুতরাং যখন মানুষ ধৰ্ম্মের জন্য ধৰ্ম্মের সেবা না করিয়া, গুরু পদেশের খাতিরে তাহার সেবা করিতে আরম্ভ করে, তখনি বুঝিতে হইবে যে তাহার ধৰ্ম্মজীবনের মৃত্যুর দিন নিকটে আসিয়াছে। মার্কিন সাধু এমারসন একস্থানে বলিয়াছেন-“মানুষ যখন ধৰ্ম্মসাধন করিতে গিয়া অপরের দোহাই দেয়, একজনের দোহাই দিক আর বহু জনেরই দোহাই দিক, বুঝিবে সেখানে ধৰ্ম্মজীবনের মৃত্যু হইয়াছে।” আর ইহার যুক্তিও হাতের নিকটেই আছে। যে ব্যক্তি নিজের হাতে দুইটী গ্যাস মিলাইয়া জল করিয়া দেখিয়াছেন এবং জলকে বিশ্লেষণ করিয়া দুইটী গ্যাস বাহির করিয়াছেন, তিনি