পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Šlo o ধন্মজীবন । এ প্ৰকার ভ্রমে পতিত হয় । ধৰ্ম্মসাধনের প্রণালীতে যে আবশ্যকতা নাই তাহা বলা উদ্দেশ্য নহে; কিন্তু এই বলাই উদ্দেশ্য, যে প্ৰণালীর মধ্যে এমন কিছু নাই, যাহাতে ধৰ্ম্মকে দিতে পারে । ধৰ্ম্ম ঈশ্বরের আবির্ভাবের সহিত হৃদয়ে জন্মগ্রহণ করে । কিন্তু ধৰ্ম্ম-সাধকদিগের মধ্যে বহু সংখ্যক মানুষ ক্রিয়াকেই ধৰ্ম্ম বলিয়া মনে করে ; ক্রিয়ার অতিরিক্ত আর কিছু জানে না ; সেই কারণেই ক্রিয়াকে একটা বন্ধন স্বরূপ মনে করা হইয়াছে । সর্বশেষে আর এক প্রকার বন্ধন আছে, জীবন্ত ধৰ্ম্ম যাহা হইতে মানুষকে মুক্ত করে। সেটা প্ৰবৃত্তির বন্ধন। অগ্ৰেই বলিয়াছি ঈশ্বরের ন্যায় আত্ম-সংযত কেহ নাই । র্তাহার অনুকরণ করিয়া প্ৰবৃত্তি সকলকে ঈশ্বরাদেশের অধীন করাই ধৰ্ম্ম । আমাদের দেশে একপ্ৰকার ধৰ্ম্মসাধনের ভাব আছে, যাহাতে পূৰ্ণ স্বেচ্ছাচার শিক্ষা দেয়। ধৰ্ম্মের ষড় যেমন, স্বচ্ছন্দে খাইয়া শুইয়া, গ্রামের মধ্যে বেড়ায়, কেহ তাহার গলে রজ্জ্ব দেয় না, তেমনি যিনি সম্পূর্ণ স্বাধীন ভাবে বিহার করেন, যখন যাহা ইচ্ছা আচরণ করেন, খাইবার শুইবার, কাজ করিবার কোনও নিয়ম নাই, সংসারে কৰ্ত্তব্য বলিয়া কিছু নাই, তিনিই শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী ও শ্ৰেষ্ঠ ধাৰ্ম্মিক। এক প্রকার গুঢ় স্বসুখপরতা ও স্তুেচ্ছাপারতন্ত্রতা আছে, যাহাকে মানুষ ধৰ্ম্মের নাম দিয়া সেবা করে, ইহা তাঁহাই। এরূপ দৃষ্টান্ত এদেশে বিরল নয়। মনে কর