পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মজীবন । مع ما আমাদের শিক্ষা ও উন্নতির উপযোগী এবং আমাদিগকে জগতের উপযোগী করিয়াছেন । এ জগতে থাকিয়া আমার জ্ঞান, শ্ৰীতি ও ধৰ্ম্মে উন্নত হইব, এবং এ জগত হইতে যাহা পাইবার তাহ পাওয়া যখন শেষ হইবে, তখন অপর জগতে আস্থত হইব ; -ইহাই আমাদের জীবনের নিয়তি । এ সম্বন্ধে জন্মের সহিত মৃত্যুর যেন সাদৃশ্য দেখা যায়। শিশু যখন মাতৃ-গৰ্ভ হইতে ভূমিষ্ঠ হয়, তখন আমরা কি দেখি ? দেখিতে পাই, মাতৃ-গর্ভের যাহা দিবার ছিল, তাহ যখন দে ওয়া হইল, তখন যেন মাতৃগভে শিশুকে বলিল,- “হে ভ্ৰাণ-দেহ ! আমার নাহি দিবার ছিল দিয়াছি, এখন তুমি আলোকময় রাজ্যের উপযুক্ত হইয়াছ অতএব সেখানে গমন কর।” ইহারই নাম জন্ম। ঈশ্বর-ভক্ত সাধুর মৃত্যু সময়ে ও যেন তাeাই ঘটে । এ জগত যেন বলে-“হে সাধো ! আমার ঘে কিছু শিক্ষা দিলার ছিল, তাহা তোমাকে দিয়াছি, এখন তুমি অপর জগতের জন্য গ্ৰস্তুত হইয়াছ, অতএব সেখানে গমন কর।’ এখানে বাস করিয়া অ নু্যার সর্বাঙ্গীণ উন্নতি সাধন করাই ঘদি মানব-জীবনের লক্ষ্য হয়, তবে খাইয়া, ঘুমাইয়া, কয়েকটী সংস্থান ও কয়েক হাজার টাকা। রাখিয়া গেলেই তাহ সংসিদ্ধ হয় না । এ জীবন সম্বন্ধে তামাদের প্র:তেকের গুরুতর দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে । জ্ঞানালোচনা দ্বারা মনকে উন্নত করা, শ্ৰীতির দ্বারা হৃদয়কে প্রসারিত করা, কর্তব্যপরায়ণতা দ্বারা ধৰ্ম্মবুদ্ধিকে সবল করা, ঈশ্বরের শ্রবণ, মনন, নিদিধ্যাসনাদি