পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনের উচ্চ আদর্শ। ভগবদগীতা কৰ্ম্মের সম্বন্ধে যাহা বলিয়াছেন, আমরা সাধারণ মানব-জীবন সম্বন্ধে ও তাহ বলিতে পারি । আমরা মানবকে বলিতে পারি,-“হে মানব ! তুমি এই জীবনের মধ্যে বাস কর, কিন্তু চিত্তকে দৈনিক জীবনের ক্ষুদ্র সীমার মধ্যে সম্পূর্ণরূপে আবদ্ধ রাখিও না ; জীবনের মহৎ ও উচ্চ আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করিয়া, জীবনের দৈনিক সীমাকে ক্ষুদ্র জানিয়া, ইহার মধ্যে বাস কর । এই জীবনটার আদর্শ আমাদের যাহার মনে যে প্ৰকার, তিনি সেই ভাবেই এ জীবনে বাস করিয়া থাকেন । অনেক মানবের মনে আহার, নিদ্রা, বং শরক্ষা, সন্তান-পালন, অর্থে পাৰ্জন ও অর্থসঞ্চয় ইহার অতিরিক্ত জীবনের উচ্চতর আদর্শ নাই । ব্ৰ’ হ্মের পক্ষে ও কি তাহাই ? ব্ৰাহ্মা ! তোমার মনে জীবনের যে ভাব আছে তাহা কি ইহাতেই পার্সাবসিত ? তুমি যদি খাইয়া ও ঘুমাইয়া, কয়েকটী সন্তান ও কয়েক হাজার টাকা রাখিয়া যাও, তাহা হইলেই কি মনে করিবে যে তোমার জীবনের সার্থকতা হইয়াছে ? ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম আমাদের সমক্ষে এক মহৎ ও উচ্চ আদর্শ আনিয়া উপস্থিত করিয়াছে। আমরা এই জগতের জীবনকে আমাদের জীবনের শৈশবাবস্থা মনে করি । এ জগৎ আমাদের কৰ্ম্মফল ভোগের জন্য কারাগার নয়, অন্নদামান দ্বীপ নয়, যেখানে নির্বাসিত হইয়া আসিয়াছি, আমাদের করুণাময় পিতা ও স্নেহময়ী মাতা আমাদিগকে শিক্ষিত ও উন্নত করিবার জন্য এখানে রাখিয়াছেন । তিনি এই জগতকে ও মানবজীবনকে