পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ORY ধৰ্ম্মজীবন । এ বিষয়ে দেখিতে পাই,গাভীর দুগ্ধ যেমন স্বভাবতঃ মিষ্ট, তেমনি স্বভাবই কাৰ্য্য করিয়া থাকে । স্বভাবটা বড় কথা ! মানুষ পিতা মাতার কাছে যেটা পায়, বংশপরম্পরাক্রমে সমাজ হইতে যে শিক্ষা আসে, সেটাকে অতিক্রম করা অনেক দিনের, অনেক সাধনশ্রমের কৰ্ম্ম । বিষয়া সক্ত, স্বার্থপর, ইন্দ্ৰিয়াসক্ত পিতামাতার চিন্তা করা কীৰ্ত্তব্য, যে র্তাহাদের প্রকৃতির ও কাৰ্য্যের ফল তাহদের মধ্যেই বদ্ধ থাকিবে না ; তাহারা সস্তানদিগকে এমন প্ৰকৃতি দিয়া যাইবেন, যাহা ধৰ্ম্মের উচ্চ আদর্শের প্রতিকূল । জন্ম ও শিক্ষালব্ধ প্ৰকৃতিটাকে এত বড় করিয়া দেখাইবার উদ্দেশ্য কি ? উদ্দেশ্য এই, ধৰ্ম্ম-সাধনের পথে যিনি অগ্রসর হইতেছেন, তিনি যেন জানেন যে তঁাহার সম্মুখে গুরুতর শ্রম ও তপস্যা রহিয়াছে। তিনি যদি নিজ দেহ মনের দুর্বলতার দ্বারা বার বার অভিভূত হন, তথাপি যেন न्द्रि*ि का ३ठ्भ । সর্বদাই যেন স্মরণ রাখেন, যে বহু বহু যুগে যে আকাঙ্ক্ষা পুর্ণ হইবে, তাহা দুই দিনে কেন পূর্ণ হইব ? তবে আদর্শটাকে সর্বদা হৃদয়ে উজ্জ্বল রাখিতে হইবে ; এবং ধৰ্ম্মজীবন রক্ষার উপায় বিধান করিতে হইবে । ধৰ্ম্মজীবন রক্ষার উপায় কি ? দেহের জীবন রক্ষার যে উপায়, ধৰ্ম্মজীবন রক্ষার সেই উপায় । দেহের জীবন রক্ষার উপায় দুইটি প্রক্রিয়া—গ্রহণ ও বর্জন । পুষ্টিকর অন্ন পান গ্ৰহণ করা, এবং বিষাক্ত ও স্বাস্থ্যের ক্ষতিজনক যাহা কিছু