পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ve ধৰ্ম্ম-জীৰন। উৎপন্ন করিতে পাের, তবে সে সুরার পরিবর্তে সে পদার্থ সেবন করিতে প্ৰস্তুত । মত্ততা লইয়াই তাহার প্রয়োজন, কোন পদাৰ্থ বিশেষের দ্বারা সেই মত্ততা জন্মে তাহ অনুসন্ধান করা প্রয়োজনীয় নহে। সেইরূপ ভাবুকের ভাব লইয়াই প্রয়োজন, কি ভজনা করিয়া ভাব জন্মে তাহা অনুসন্ধান করা বিশেয প্রয়োজনীয় নহে। ঈশ্বরের শ্রবণ ও কীর্তনের দ্বারা যেরূপ আনন্দ হইতেছে। যদি আৰু 'হা অপর কোনও পদার্থের ভজনার দ্বারা হয় তাহাতে তাহার আপত্তি নাই । কিন্তু আমরা বলি, প্রকৃত ধৰ্ম্ম কেবল ভাবে বাস করে না, তাহা কার্স্যকে অধিকার করে । ধৰ্ম্মসাধনের প্রাচীন ভাব এই যে, ধৰ্ম্ম জীবনের দশটা বিষয়ের মধ্যে একটা বিষয় । আমরা যেমন অ্যাহার করি, বিএম করি, কৰ্ম্মস্থানে গিয়া কৰ্ম্ম করি, কুষি-বাণিজ্য প্রভূতি করি, তেমনি ধৰ্ম্মসাধন করি ; ধৰ্ম্মসাধন দশট কাজের মধ্যে একটা কাজ । ধৰ্ম্মসাধনের নূতন ভাব এই যে ধৰ্ম্ম সমুদয় জীবনব্যাপী, ইহা জীবনের একটা কাজ নহে, কিন্তু ইহাই জীবন । সুতরাঞ্চ পৰ্ম্মসাধন কোন ও প্ৰকার আংশিক ব্যাপার নহে | এতদ্দেশে বিভিন্ন শ্রেণীর সাধক বিভিন্ন ভাবে ধৰ্ম্মসার্ধনকে দেখিয়াছেন । দ গুী, পরমহংস প্রভূতি জ্ঞানপন্থাবলম্বিগণ মনে করিয়াছেন যে ধৰ্ম্ম জ্ঞানের মধ্যেই নিহিত । বিদ্যার দ্বারা অবিদ্যার বিনাশ হইলেই জীব মুক্তি লাভ করে। ভক্তিপথাবলম্বিগণ মনে করিয়াছেন যে ধৰ্ম্ম ভাবের মধ্যেই নিহিত । ভাব বিশেষের উত্তেজনা দ্বারাই