পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বর হৃদয়ে । ዓ © প্রকাশিত করিয়া ভঁহাদের মুখ দ্বারা মানবকে মুক্তি-প্ৰদ বাণী শুনাইয়াছিলেন। সেই সকল উক্তি প্ৰাচীন বেদে, বা বাইবেলে বা কোরাণে নিবদ্ধ রহিয়াছে। এখন ঈশ্বরোিচ্ছা যদি জানিতে চাও তবে ঐ সকল প্রাচীন গ্রন্থের পৃষ্ঠা উদঘাটন কর ; ঐ সকল গ্রন্থের তাৎপৰ্মা হৃদয়ঙ্গম করিবার জন্য প্ৰাচীন মৃত ভাষা অধ্যায়ন করা ; টাকাকারদিগের শরণাপন্ন হু ও ; তদ্ভিন্ন আর জীবনের কৰ্ত্তবা-পথ নিৰ্দ্ধারণা করিবার উপায় নাই। এই মতের প্ৰধান দোষ এই যে, ইহা ঈশ্বরকে অতীতের মধ্যে রাখিয়া দেয় । মানুষের সহিত তাহার যে কিছু সাক্ষাৎ সম্বন্ধ তাহ যেন চুকিয়া গিয়াছে। যাহা কিছু বলিবার তাহ যেন বেদের ঋষিদিগকে বা মূষাকে বা মহম্মদকে বলিয়াছেন ; তোমাকে আমাকে আর কিছু বলিতেছেন না, বা বলিবেন না । ঠিক দেখিতে গেলে এই মতাবলম্বিগণ মানিতে পারেন না যে, ঈশ্বর এখনও মানবকে সাক্ষাৎ ও অব্যবহিত ভাবে কিছু বলিতেছেন বা বলিতে পারেন । কারণ ইহা যদি সত্য হয় যে, তিনি ঋষিদিগের অন্তরে যেমন তাহার বাণী প্ৰকাশ করিয়াছিলেন, তেমনি এখনও প্ৰত্যেক মানব-অন্তরে নিজ বাণী প্ৰকাশ করিতেছেন, তবে তাহার ইচ্ছা! জানিবার জন্য অতীতকে একমাত্ৰ আশ্রয় রূপে অবলম্বন করিতে হয় না । কিন্তু অভ্ৰান্ত শাসুবাদিগণ ঈশ্বরোিচ্ছা জানিবার জন্য অতীতকেই একমাত্ৰ আশ্রয় রূপে অবলম্বন করিয়া থাকেন । আমরা বলি এরূপ মতে ঈশ্বরকে দুরে ফেলিয়া দেয় । মানবাত্মা তাহার জন্য ব্যাকুল ও পিপাসু হইলে যদি তাহাকে বলা যায়,