পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধন্মজীবন। وما فيه তুমি তাহার বাণী জানিবার জন্য ঐ পুরাতন পুস্তক উদঘাটন কর, অমুক ভাষা অধ্যয়ন কর, বা অমুক টীকাকারের শরণাপন্ন হও, তবে সে কথা তাহার হৃদয়ের পক্ষে কেমন নিদারুণ বোধ হয় ! একাপ না বলিয়। গীতার পূর্বোক্ত উক্তির অনুসারে যা দি বলা যায় “ঈশ্বর তোমার হৃদয়ে তুমি সৰ্ব্বাস্তঃকরণের সহিত তাহার শরণাপন্ন হও, তাহারই প্ৰসাদে পরম শান্তি লাভ করিবো,’ তাছা হইলে তাহার অন্তরে কিরূপ আশ্য ও আনন্দের সঞ্চার হয় ? অভ্ৰান্তশাস্ত্ৰবাদ যুক্তিযুক্ত কিনা। এখানে তাহার আলোচনা কর। উদ্দেশ্য নয়, তাহা ন হইলে বলা যাইতে পারিত যে, কোন ও গ্রন্থ বিশেষকে আভ্রান্ত ঈশ্বরের বাণী বলিয়া ও নিস্কৃতি নাই। অনেক স্থলে একই উক্তির বিবিধ অর্থ ঘটিতে পারে, সেই সকল অর্থের মধ্যে কোনটা ঈশ্বরের অভৗন্ট ও অভ্ৰান্তরূপে গ্ৰহণযোগ্য তাহ! নিৰ্ণয় করিবার উপায় কি ? অতএব অভ্ৰান্ত শাস্ত্রের সঙ্গে অভ্রান্ত টীকাকৰ্ত্ত না। দিলে, নিশ্চিতরূপে কোনও উক্তির উপরে নির্ভর করি ৭ার উপায় নাই । যদি প্ৰত্যেকের ভ্ৰান্তিাশাল বিচার ও ভ্ৰান্তিশীল বিবেকের দ্বার। শাস্ত্ৰেক্তির বিচার করিতে হয় তবে অভ্ৰান্ত শাস্ত্ৰ মানার ফল কি হইল ? সে যাহা হউক এরূপ বিচার ও তর্ক প্ৰণালী অবলম্বন কর। এ উপদেশের উদ্দেশ্য নহে, ব্যাকুল ও পিপাসু। আত্মার পক্ষে ঈশ্বরের সান্নিধ্য-জ্ঞানের প্রয়োজন-ইহাই প্রদর্শন করা উদেশ্য ।