পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

! ধৰ্ম্মজীবন و یا পৃথিবী হইতে অন্তহিত হইতেছে । এই বিষাক্ত ও তিক্ত ভাব প্রাচীন ধৰ্ম্মের সমুদায় চিন্তার মধ্যে প্রবিষ্ট হইয়াছে । ইহার মতে এ জগতে জন্মগ্রহণ করাই এক বিড়ম্বনা, কৰ্ম্মফল ভোগ করা মাত্র । তার জগতে যাহাতে না আসিতে হয় তাহার উপায় বিধান করাই কর্তব্য । কিন্তু সেই ভারতীয় প্রাচীন ধৰ্ম্মে ইহাও বলে যে, জগতের এ দুর্দশ চিরদিন থাকিবে না, ভগবান পুনরায় ভুভার হরণের জন্য অবতীর্ণ হইবেন, এবং পুনর্বার সত্যযুগ ফিরিয়া আসিবে । খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মের ও এই কথা । খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম বলেন অ্যাদিতে মানবের অবস্থা নিস্পাপ ছিল ; মানব নিজকত পাপের দোষে সেই পূর্ণ সুখের অবস্থা হইতে ভ্ৰষ্ট হইয়াছে। এখন মানুষ যাহা করিতেছে। সমুদয়ই পাপ-দূষিত ; পাপ মানব প্ৰকৃতির অস্তি মজার মধ্যে প্রবিষ্ট হইয়া রহিয়াছে ; এখন মানব দিন দিন পূর্ণ অবস্থা হইতে ভ্রন্ট হইয়া পড়িতেছে ; ঈশ্বরের সংসারে শয়তান রাজা। হইয়া বসিয়াছে। কিন্তু শয়তানের রাজা চিরদিন পাকিবে না । মীশু আবার অ্যাসিবেন ; তখন ঈশ্বরের স্বৰ্গরাজা জগতে প্ৰতিষ্ঠিত হইবে । এইরূপে দেখা যাইবে, পৃথিবীর সমুদয় প্রধান প্রধান ধৰ্ম্মই মানবের জন্য আশার দ্বার উন্মুক্ত রাখিয়াছে। বর্তমানকে মলিন বর্ণে চিত্ৰিত করিলে ও ভবিষ্যৎকে উজ্জ্বল রাখিয়াছে। বিজ্ঞানের ত কথাই নাই । তাহার বাণী আশার বাণী । বর্তমান বিজ্ঞানলব্ধ ভােব বলিতেছে, সতী যুগ সম্মুখে । জগত উন্নতির অভিমুখেই গমন করিতেছে। কি জড় রাজ্যে, কি